Logo

ভাগ্নের হাত ধরে পালালেন মামী

অনিন্দ্য বাংলা
শনিবার, মার্চ ২৩, ২০২৪
  • শেয়ার করুন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৪ সন্তানের জননী মামীকে নিয়ে পালিয়েছে আপন ভাগ্নে পাভেল মিয়া (২৩)। তাদের খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঘটনার সাত দিন পর  মামা বুধবার রাতে ভৈরব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে প্রেমিক পাভেল।

এ ঘটনার তিন মাস আগেও পালিয়ে গিয়ে পাভেলের সঙ্গে এক মাস সংসার করেছে বলে স্বামী জানান। তখন এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার তাকে বুঝিয়ে স্বামীর সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছিল। তখন ওই গৃহবধূ (মামি) অঙ্গীকার করেছিল এমন ঘটনা আর করবেন না।

সংসারে ফিরে এসে এক মাস না যেতেই আবার দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটিয়ে তারা দুজন পালিয়ে যায়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে। কারণ ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী ভাগ্নের সঙ্গে মামির প্রেম বা বিয়ে চলে না। ধর্মীয় অনুশাসন তারা না মেনেই কাজটি করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এ বিষয়ে মামা (যুবকের মামা) বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর আমি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। ১০ বছরের সংসারে আমার ৪টি ছেলে হয়েছে। আমাদের সংসার সুখেরই ছিল। আমি গ্যারেজ ব্যবসা ও কবিরাজি করে ভালো আয় করি। সংসারে কোনো অভাব নেই। আমি জানতাম না স্ত্রী আমার আপন ভাগ্নের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে সে গত তিন মাস আগে আমার আপন ভাগ্নে পাভেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করে শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতায় তাকে সংসারে ফিরিয়ে আনি।

তিনি আরও বলেন, এখন একমাস পার না হতেই আবারো ১৪ মার্চ একই ঘটনা ঘটিয়ে তারা পালিয়েছে। সাথে আমার আড়াই মাসের সন্তানকে নিয়ে গেছে, বাকি তিন সন্তানকে বাড়িতে রেখে গেছে। এখন তিন সন্তান নিয়ে আমি বিপদে আছি। ঘটনার পর থেকে খোঁজে না পেয়ে বুধবার থানায় জিডি করেছি।

আপনাকে তালাক দিয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- না আমি তালাকের কোনো কাগজ পায়নি। এর আগের ঘটনায়ও স্ত্রী আমাকে তালাক দেয়নি।

এলাকার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন জানান, গত তিন মাস আগে তারা দুজন পালিয়ে গেলে দুই মাস পর দুজনকে ধরে এনে ঘটনা মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। এখন আবার একই ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগটি জানিয়েছেন স্বামী। এখন দুজনকে না পেলে আমি কী করতে পারি। সামাজিক অবক্ষয়ে সমাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।

ভৈরব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। তার স্ত্রী সাবালিকা। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অনেকটা থাকে না। কারণ পুলিশ আইনের বাইরে কিছুই করতে পারে না। স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান, মেম্বার এসব ঘটনা মীমাংসা করতে পারে। তবে তালাক না দিয়ে যদি তার স্ত্রীর ভাগ্নের সাথে বিয়ে হয় তবে আদালতে অভিযোগ দিতে পারেন স্বামী। তারপরও যদি স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা করব। তার জিডি দিয়ে নিখোঁজের বিষয়টি আমরা তদন্ত করব, তবে আইনিভাবে ঘটনার বিষয়ে কিছুই করার ক্ষমতা পুলিশের নেই।