Logo

ভারতীয় শাড়িতে জমেছে বাংলাদেশী ঈদ মার্কেট!

অনিন্দ্য বাংলা
রবিবার, মার্চ ৩১, ২০২৪
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদ উৎসবে শাড়ি ছাড়া নারীর সাজগোজ যেন অপূর্ণ থেকে যায়। বাঙালি নারীর ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি। কারণ, বাঙালি নারীর সবচেয়ে নান্দনিক পোশাক শাড়ি। আবহমান কাল থেকে শাড়ি বাঙালি নারীর সম্ভ্রম, অলঙ্কার আর অহংকারের প্রতীক। এবারের ঈদেও ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি পিসে মজেছেন বাঙালি নারীরা।

রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও ধানমন্ডির ছোট-বড় বিভিন্ন পোশাকের দোকান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

ধানমন্ডির রাপা প্লাজার নীল আঁচল শাড়িজ নামের দোকানে বৈচিত্র্যময় শাড়ির সমাহার দেখা গেছে। সেখানে ভারতের তেলেঙ্গানার তৈরি এক একটি গাদোয়াল শাড়ির দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

ওই মার্কেটে দামি শাড়িসহ মাঝারি দামের অন্য শাড়ির কালেকশনও দেখছেন ফাহমি জান্নাত নামের এক ক্রেতা। তিনি পেশায় ব্যাংকার। ফাহমি জান্নাতের এবারের ঈদ পরিকল্পনায় রয়েছে ভালো মানের শাড়ি কেনা।

ঈদের কেনাকাটা প্রসঙ্গে এ নারী জাগো নিউজকে বলেন, গাদোয়াল অথবা কাঞ্জিভরম শাড়ি কিনবো। এটাই এবারের ঈদের পরিকল্পনা।

ভারতীয় শাড়ির প্রতি আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতীয় শাড়ির ফেব্রিকস ভালো। নান্দনিক ডিজাইন আর নিখুঁত কারুকাজ ভালো লাগে। ভারতীয় শাড়িতে জরি সুতার কাজ, স্প্রিংয়ের কাজ, অরিজিনাল স্টোন দিয়ে কাজ ও মিনাকারি কাজ আমার বেশ ভালো লাগে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভারতের তামিলনাড়ুর কাঞ্জিভরমে তৈরি শাড়ি গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের নারীদেরও মনে জায়গা করে নিয়েছে। এবারের ঈদেও এ ধরনের শাড়ির চাহিদা কমেনি।

এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের তাঁত, বালুচরী, উত্তরপ্রদেশের বেনারসি সিল্ক, বিহারের তসর, গুজরাটের পাটোলা, পাঞ্জাবের ফুলকারী, ছত্তিশগড়ের কোসা সিল্ক, রাজস্থানের কোটা দরিয়া ও লেহেরিয়া শাড়িও বাঙালি নারীর পছন্দের তালিকার প্রথম দিকেই থাকে।

ভারতীয় শাড়ি, যা সব সময় ধরে মেয়েদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। কালের বিবর্তনে সেসব শাড়িতে এসেছে নতুনত্ব। খাদি কাতান, মিনাকারি দিয়ে কাজ করা, আঁচলে টারসেল, ব্লাউজ পিসে কাজ করা এবং হাতে প্যানেল আছে। এসব শাড়ি ক্রেতার অন্যতম পছন্দ। শাড়িপ্রিয় নারীদের কালেকশনে ভারতীয় শাড়ি থাকবে না, এ যেন হতেই পারে না।