Logo

ময়মনসিংহে বকেয়া  ভাড়ার জন্য ঝলসে দিলো রাণীর শরীর !

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
  • শেয়ার করুন

শরৎ সেলিম : ময়মনসিংহ মহানগরের ভাটিকাশরে ভাড়াটিয়া রানীকে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে সারা শরীর ঝলসে দিলো বাড়ীর মালিক সাজু মিয়ার মেয়ে মীম ও সুমী। বিষয়টি ঘটেছে গত সপ্তাহে।
এ বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর ৮ ফেব্রুয়ারী রাত ৮ টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে বাড়ীর মালিক সাজু মিয়ার এই নির্মম অত্যাচারের তথ্য তুলে ধরে রানী বলেন,  আমরা খুব গরীব, অসহায়। সাজু মিয়ার বাড়ীতে প্রায় ২ বছর যাবৎ ভাড়ায় আছি। করোনাকালেও আমাদের ভাড়া মওকুফ করেনি। আমার স্বামী একজন অটোচালক। তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার। নানা কারণে অর্থাভাবে তিন মাসের বাড়ীভাড়া বকেয়া পড়ে যায়। সেজন্য বাড়ীওয়ালা ও তার মেয়েরা নানা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এই বিষয়ে মেয়েদের সাথে কথা কাটাকাটি হলে,  সাজু মিয়া তার মেয়েদের উস্কে দেয়। মেয়েরা পিছন থেকে আমার শরীরে ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়। ফলে আমার পিঠ, কোমড় ও গোপনাঙ্গসহ ঝলসে যায়। আমি প্রায় চারদিন যাবৎ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছি।
রানীর স্বামী জানান,  আমি  একজন অটোচালক । আমি বিষয়টি থানায় অবহিত করেছি। আমার স্ত্রী মৃত্যুশয্যায়। বাচ্চারা সারাদিন না খেয়ে থাকে। হাসপাতাল থেকে সব ঔষধ দেওয়া হয় না। কিছু ঔষধ কিনতেও হয়। ধার দেনায় দিশেহারা। আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে অনেক টাকার দরকার। সে না বাঁচলে, আমার সন্তানরা বাঁচবে না।
তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সমাজের মহৎ মানুষের সাহায্য প্রার্থণা করে  তার স্ত্রীর উপর হামলাকারীদেরকে দ্রুত আইনের মাধ্যমে এনে সঠিক শাস্তির জন্য ময়মনসিংহের মানবিক পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের জোর দাবী জানান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে এই মর্মাহত দৃশ্য অনেককে কাঁদিয়েছে। সমাজের মহৎ ও মানবিক সংগঠনগুলো রানী ও রানীর পরিবারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে। রানী হয়তো বেঁচে যাবে, বেঁচে যাবে তার শিশু সন্তানেরা।
আরো বিস্তারিত :