Logo

গফরগাঁয়ে গোলাম সোবহান আহম্মেদ মিয়া ওয়াকফস্টেটের শর্ত লঙ্ঘন করে মোতওয়াল্লী নিয়োগের পায়তারা

অনিন্দ্য বাংলা
সোমবার, জুলাই ২০, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের গফরগাওয়ে গোলাম সোবহান আহম্মেদ মিয়া ওয়াকফ স্টেটের দলিলের ২২ নং শর্ত লঙ্ঘন করে দোষি সাবস্থ্য ( অপসারিত) উত্তোরাধিকারীকে মোতওয়াল্লী নিয়োগের পায়তারা করছে একটি চক্র। ফলে স্টেটের সম্পত্তি বিনষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানায়, স্টেটের মূল মালিক ( ওয়াকিব) গোলাম সোবহান আহম্মদ মিয়া। তার দুই পুত্র সন্তানের মধ্যে ছোট পুত্র আ: রশিদ মোতওয়াল্লী দায়িত্ব পালনকালে স্টেটের স্বার্থ বিরোধী নানা কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিলো তাঁর নামে। তাঁর মৃত্যুর পর পরবর্তীতে তার ছেলে জাহেদ হোসেন স্টেটের দায়িত্ব পান। দায়িত্ব গ্রহণ করে নিজ নামে সম্পত্তি রেকর্ডসহ দূর্নীতি ও অনিয়ম করলে, স্টেটের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে করেন তার আপন ভাতিজা একরাম হোসেন। এ ঘটনায় দীর্ঘ তদন্তে জাহেদ হোসেন দোষি সাব্যস্থ হলে মোতওয়াল্লী নিযুক্ত হন একরাম হোসেন। মতোওয়াল্লী পদ পেয়ে জাহিদ হোসেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে  একরাম হোসেনও সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করে স্টেটের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে গোলাম সোবহান আহম্মেদ মিয়ার প্রপৌত্র মাহবুবুর রহমান ওরফে গোলাম মাহাবুব-ই-সোবাহানীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ উচ্চ আদালতের রায়ে একরাম হোসেন মোতওয়াল্লী পদ হারান। ওই সময় আদালতের আদেশে এ স্টেটের রিসিভার নিযুক্ত হন গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অত:পর ওয়াকফ আদালতের দুটি রায় এবং উচ্চ আদালতের একটি আদেশে বংশ পরম্পরায় মোতওয়াল্লীর দায়িত্ব পান মাহাবুবুর রহমান ওরফে গোলাম মাহাবুব-ই-সোবাহানী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিগত ২০১৯ সালের ১২ডিসেম্বর মোতওয়াল্লীর দায়িত্ব গ্রহন করে মাহাবুবুর রহমান ওরফে গোলাম মাহাবুব-ই-সোবাহানী স্টেটের তিনটি মৌজায় প্রায় ৩১ একর জমি খারিজ করে বকেয়া খাজনা পরিশোধ করেন। পাশাপাশি স্টেটের নামে সম্পত্তির দখল ফিরিয়ে আনেন । এর মধ্যে এ স্টেটের সাবেক মোতওয়াল্লী একরাম হোসেনের চাচা জাহেদ হোসেনের দখলে থাকা ১৮ একর ৬৬ শতাংশ জমিও উদ্ধার করেন বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতয়াল্লী।

সূত্রের দাবি, অতি সম্প্রতি অপসারিত মোতওয়াল্লী জাহিদ হোসেনের পুত্র শওকত হোসেন আদালতের রায় অবমাননা ও উপেক্ষা করে, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে মোতওয়াল্লী পদে নিয়োগের পায়তারা করছে। কিন্তু ওয়াকফস্টেট দলিলের ২২নং শর্ত অনুযায়ী দোষি সাব্যস্থ (অপসারিত) কোন মোতয়াল্লী বা তার ওয়ারিশগন মোতওয়াল্লী হতে পারবে না এবং এই স্টেটের কোন সুযোগ-সুবিধা পাবে না। ফলে এই শর্তমতে শওকত হোসেন চিরদিনের জন্য মোতয়াল্লী পদের অযোগ্য।

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতওয়াল্লী মাহাবুবুর রহমান ওরফে গোলাম মাহাবুব-ই-সোবাহানী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টেটের সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করছি। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতায় স্টেটের সম্পত্তি উদ্ধার হলে উপকারভোগীসহ দেশ ও দুস্থদের কল্যানে ব্যায় করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ওয়াকফ প্রশাসনের গুটি কয়েক কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিকে মোতওয়াল্লী নিয়োগের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। বিষয়টি ষড়যন্ত্রকারী মহলের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে পড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে স্টেটের সুবিধাভোগী ও সচেতন মহলে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রশাসক মো: আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, বিষয়টি নথি না দেখে কিছু বলতে পারছি না। তবে খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।

 

সাবেক মতোওয়াল্লীদের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দূর্নীতি ও অবহেলার নিরব সাক্ষী ওয়াকিবের বসতবাড়িটি….!