ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সরাসরি ঘোষণা করেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করা এখন ইসরায়েলের যুদ্ধনীতির অন্যতম লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কাটজ বলেন, “খামেনি নিজেই প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি ইসরায়েল ধ্বংস করতে চান। তিনি সরাসরি হাসপাতালের মতো অসামরিক স্থানে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন একজন নেতার অস্তিত্ব আর থাকতে দেওয়া যায় না।”
এই মন্তব্য তিনি করেন ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সোকোরা হাসপাতাল পরিদর্শনের সময়। তেল আবিবের উপকণ্ঠে হলোন শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, “ইরান শুধু আমাদের জন্য নয়, গোটা অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। এখন সময় এসেছে পাল্টা জবাব দেওয়ার।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে একটি সোকোরা হাসপাতালে আঘাত হানে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
এই ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় ইরানি জনগণের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের সামরিক অভিযান শুধু প্রতিশোধ নয়, বরং এটি আপনাদের স্বাধীনতার পথ উন্মোচনের সুযোগ।”
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমরা জানি, আপনাদের অনেকেই এই দমনমূলক শাসনের বিরুদ্ধে। আমাদের এ পদক্ষেপ হয়তো আপনাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ তৈরি করবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, খামেনিকে হত্যার ঘোষণা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে। কারণ, এটি সরাসরি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, যা জাতিসংঘের নীতিমালার পরিপন্থী। ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার এ ধারা পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।