ময়মনসিংহের পরিচিত ও বলিষ্ঠ সাংবাদিক, দৈনিক জাহান পত্রিকার প্রতিনিধি মেহেদী হাসান নাদিমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একাধিক মামলা ও অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
বিভিন্ন সময় নাদিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়, যার অধিকাংশই ছিলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো থেকে দাবি ওঠে। সম্প্রতি এক তদন্ত প্রতিবেদনে ওসি উল্লেখ করেছেন, “মেহেদী হাসান নাদিমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর যথাযথ তদন্তে আমরা কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাইনি। মামলার কিছু বাদী ও সাক্ষী তদন্তকালে স্বীকার করেছেন যে তারা অভিযুক্তকে (নাদিমকে) চিনেন না কিংবা অভিযোগের পেছনের কারণ সম্পর্কে জানেন না।”
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সাংবাদিক নাদিমকে একাধিকবার গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। তার পরিবার দাবি করেছে, এসব মামলায় রিমান্ডের হুমকি দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের অর্থ আদায় করা হয়েছে। তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে লুট করা হয়েছে স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র। এমনকি শারীরিকভাবে নির্যাতনেরও শিকার হন তিনি।
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এটি শুধু একজন ব্যক্তির নয়, মুক্ত সাংবাদিকতার ওপরও আঘাত। তারা মেহেদী হাসান নাদিমের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক নাদিম বলেন, “আমি সত্য প্রকাশ করেছি বলেই বারবার হয়রানির শিকার হয়েছি। এখন প্রমাণ হয়েছে – আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।”
এই ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।