সকল খবর বিদেশের খবর

যুদ্ধবিরতিতে ইরান-ইসরায়েল: ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ধাপে ধাপে শান্তির পথে দুই দেশ

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ২৪-৬-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০১১

দুই সপ্তাহের ভয়াবহ সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরবৈরী শক্তি ইরান ও ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার (২৪ জুন) থেকে ধাপে ধাপে কার্যকর হচ্ছে এই যুদ্ধবিরতি। যদিও এখনো চুক্তির নির্দিষ্ট সময়সীমা ও শর্তাবলী সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি প্রধান গণমাধ্যম যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করলেও, চুক্তির শর্ত ও কার্যকারিতার সময় নিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্যে পার্থক্য রয়ে গেছে।

মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েল একটি "সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক" যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে চুক্তি লঙ্ঘন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে ইরানের চারটি পাল্টা হামলার পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানায়, "যুদ্ধবিরতি এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে।"

অন্যদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ এবং ওয়াইনেট যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করলেও, ইসরায়েল সরকার এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের ওপর ‘চাপিয়ে দেওয়া’ হয়েছে। যদিও তারা চুক্তির সময়সূচি কিংবা শর্তাবলি স্পষ্ট করেনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ধাপে ধাপে ২৪ ঘণ্টায় পুরোপুরি কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ১২ ঘণ্টায় ইরান একতরফাভাবে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে এবং পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় একই পথে হাঁটবে ইসরায়েল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সূচনা না হলেও, সহিংসতা বন্ধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তবে চুক্তির বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা নির্ভর করছে উভয় দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক চাপের ওপর।

উল্লেখ্য, চলমান এই সংঘাতে উভয়পক্ষের বহু সামরিক সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। এখন বিশ্বের নজর থাকবে, এই যুদ্ধবিরতি আদৌ কতটা স্থায়ী ও কার্যকর হয় সে দিকেই।