কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই কলেজছাত্র ঢাকার একটি কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। তিনি ঢাকার ডেমরা এলাকায় থাকতেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি কিছুটা অসুস্থতা নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। খবর পেয়ে ১৪ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গ্রামের বাড়ি গিয়ে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) থেকে গতকাল রাতে পাঠানো পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই কলেজছাত্রের বাড়িতে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন যাবেন। তাঁরা সেখানে গিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।
এ বিষয়ে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া পারভীন বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তির বাড়িতে তিনি যাচ্ছেন। বাড়িটি লকডাউন করে দেওয়া হবে এবং সেখানে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
এ নিয়ে নোয়াখালীতে এক নারীসহ চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয় মারা যাওয়ার পর। বাকি দুজনের মধ্যে একজন করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন। আর অন্যজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় নমুনা পরীক্ষায়।
মতামত লিখুন :