সকল খবর দেশের খবর

আগামীকালও চলবে এনবিআর কর্মকর্তা–কর্মচারীদের শাটডাউন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ২৮-৬-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০০৮

রাজস্ব খাতে সংস্কার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববারও চলবে ‘শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখালেও আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন—আলোচনায় বসার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।

আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এই কর্মসূচি ও অবস্থান জানান। তিনি বলেন, “বর্তমান চেয়ারম্যান দায়িত্বে থাকলে ২৫ মে প্রকাশিত সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাজস্ব খাতে প্রকৃত সংস্কার সম্ভব নয়। তিনি একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। তবে এনবিআর সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল, ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানির শুল্কায়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

সংগঠনের দাবি, রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে সম্মুখসারিতে থাকা কর্মকর্তাদের টার্গেট করে গত ২১ ও ২২ জুন একাধিক কর্মকর্তাকে “বদলির নামে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা” নেওয়া হয়েছে। পাঁচজন কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে অপেক্ষাকৃত কম রাজস্ব সম্ভাবনাসম্পন্ন দপ্তরে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। এমনকি আদেশে প্রাপ্য যোগদানকাল না দিয়ে পরদিনই কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে—যা চাকরিবিধির পরিপন্থী বলে অভিযোগ সংগঠনের।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলা হয়, তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করছেন এবং এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি আক্রোশ ও রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বর্তমান চেয়ারম্যান ৪৪ জন আমলার তালিকায় ৩ নম্বরে আছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী অবস্থান ও নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর অপসারণ ছাড়া স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।”

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, চলমান কর্মসূচি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া হবে।