জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে প্রতিদিন গড়ে দেড় শ’র বেশি অভিযোগ জমা পড়ছে। তবে আইনি সীমাবদ্ধতা ও জনবলের সংকটের কারণে ই-কমার্স, ব্যাংক, টেলিকম ও স্বাস্থ্যখাতে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না সংস্থাটি। এতে প্রতিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অভিযোগকারীরা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোক্তাদের সুবিধার্থে জনবল বাড়ানো, আইন সংশোধনসহ নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
কয়েক বছর আগেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল সীমিত। কিন্তু বর্তমানে নিত্যপণ্যের বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিনই আলোচিত হচ্ছে সংস্থাটি। পণ্য বাজার, সেবা খাত এবং অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হয়ে অভিযোগ করছেন ভোক্তারা। সরাসরি ও অনলাইনে অভিযোগ জমা পড়লেও সেগুলোর দ্রুত সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এক অভিযোগকারী বলেন, "এখানে অভিযোগ করলে তার সমাধান দেওয়া উচিত। কিন্তু সহজে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।"
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমিত জনবল নিয়ে বাজার তদারকি ও ভোক্তাদের অভিযোগের শুনানি করতে হচ্ছে তাদের। ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ই-কমার্স, ব্যাংক, টেলিকম ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে আইন সংস্কার ছাড়া এসব খাতে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আখতার খান বলেন, "প্রত্যেকটি অংশ যদি সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে এই বিচ্যুতি দেখা দেওয়ার কথা নয়। আমরা কাজ করার পরেও প্রতিদিন সফল হবো, প্রতিদিন ব্যর্থ হবো— যদি সমাজের মেকানিজম ঠিকভাবে কাজ না করে।"
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে প্রতারণা এড়াতে সঠিক প্রমাণসহ অভিযোগ করার পাশাপাশি কেনাকাটায় সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি আশা করছে, জনবল বৃদ্ধি ও আইন সংস্কারের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।