সকল খবর
বিদেশের খবর
আমেরিকার কোর্টে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক, অনিন্দ্যবাংলা
প্রকাশ : ২৫-১-২০২৫ ইং |
নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৯১
আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা
মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের
নাগরিকত্ব দেওয়া হত। ক্ষমতায় এসে এই নিয়ম বদলেছেন ট্রাম্প।
আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে
সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা অসাংবিধানিক। এমনটাই মন্তব্য
করেছে ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক। ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর
সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে
পাঁচ থেকে ছ’টি মামলা হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে।গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার
প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। নিজের দফতরে প্রথম দিনেই তিনি একটি
নির্দেশনামায় স্বাক্ষর করেছেন।
তাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই
সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী
বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে।
কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে
সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ
কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প। আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত
ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে
জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন
বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই
সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয়
দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজ়ার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও
করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। এই পরিস্থিতিতে সিয়াটেলের জেলা জজ
জন কাফেনর ট্রাম্পের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলি শুনছিলেন।
বৃহস্পতিবার তিনি ওই নির্দেশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের
সিদ্ধান্তকে তিনি ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’
বলে উল্লেখ করেছেন।
১৮৬৮ সালে আমেরিকার
সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার
নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের
আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির
বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর
করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।