বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কম্পিউটার ও প্রিন্টার

আপনার অবর্তমানে ডিজিটাল অ্যাকাউন্টগুলোর কী হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনিন্দ্যবাংলা

প্রকাশ : ১৯-১-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৬৮

আপনার মৃত্যুর পর ডিজিটাল সম্পদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন? ডিজিটাল সম্পদের সুরক্ষা এবং উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার কোনো পরিকল্পনা না থাকলে প্রিয়জনদের আইনি জটিলতা ও আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। এ কারণে ডিজিটাল সম্পদের সুরক্ষা ও উত্তরাধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
ডিজিটাল সম্পদ বলতে অনলাইনে সংরক্ষিত বা পরিচালিত যেকোনো তথ্য বা সম্পদকে বোঝায়। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিনিয়োগ পোর্টফোলিও, ইমেইল, ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও ব্লগ বা পেটেন্টের মতো মেধাস্বত্ব।
ডিজিটাল সম্পদের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। মৃত্যুর পর অনেক মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা থাকে। পাসওয়ার্ড ও এনক্রিপশন ছাড়া এসব সম্পদে প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব। অনেকে জীবদ্দশায় সম্পদের তালিকা তৈরি না করায় প্রিয়জনরা এগুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কেও জানে না।
এ জন্য প্রথমে নিজের সব ডিজিটাল সম্পদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন। এতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের নাম, ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড এবং টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড রাখতে হবে। অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত ইমেইল এবং ফোন নম্বরও তালিকায় যুক্ত করতে পারেন।
ডিজিটাল সম্পদ সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী ও আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি অ্যাকাউন্টে দ্বিস্তর বা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সক্রিয় রাখতে হবে এবং সংবেদনশীল ডেটা এনক্রিপশন পদ্ধতিতে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
মৃত্যুর পর ডিজিটাল সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য একজন বিশ্বস্ত ও প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিকে ডিজিটাল নির্বাহক হিসেবে মনোনীত করতে পারেন। এই ব্যক্তিকে প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে এবং যিনি তাকে নির্বাচন করবেন, তার ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। তাকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য এবং অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকারের ক্ষমতা আগেই সরবরাহ করতে হবে।