জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, আন্দোলনের নামে আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী অবস্থান থেকে সরে না এলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
রবিবার দুপুরে এক সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্বল রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে কম, যার অন্যতম কারণ প্রশাসনিক দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এনবিআর পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী গত দুই মাস ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আদায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছেন। এই তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাষ্ট্রবিরোধী। এটি দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনে চরম ভোগান্তি ডেকে আনছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সরকারের দাবি, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও আন্দোলনকারীরা তা অগ্রাহ্য করে চলেছেন। অর্থ বছরের শেষ প্রান্তিকে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
এ পরিস্থিতিতে, জাতীয় স্বার্থে অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্য সচল রাখতে এনবিআরের আওতাধীন সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনসমূহের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
সরকার আশা করছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে এসে জনস্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যথায় সরকার আইনানুগ ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।