২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে আবারও মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করে। এবারের গড় পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ হলেও মেয়েদের পাসের হার ৭১.০৩ শতাংশ, যা ছেলেদের ৬৫.৮৮ শতাংশ পাসের হারের তুলনায় অনেক বেশি। এ বছর এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল প্রতিটি ক্ষেত্রেই মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ভালো ফল করেছে।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গড় পাসের হার ৬৮.০৪ শতাংশ। এর মধ্যে মেয়েরা পাস করেছে ৭০.৬৭ শতাংশ হারে, ছেলেরা ৬৫.১১ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮.০৯ শতাংশ। সেখানে মেয়েদের পাসের হার ৭০.৪৭ শতাংশ, আর ছেলেদের ৬৫.৮৩ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৩.৬৩ শতাংশ। এখানে মেয়েরা পাস করেছে ৮১.৬২ শতাংশ হারে, যেখানে ছেলেরা পাস করেছে ৭১.০৯ শতাংশ হারে।
এদিকে এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এবার মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গত বছরের ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জনের তুলনায় প্রায় ৪৩ হাজার কম। চলতি বছর নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন।
ফলাফল শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে জানতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা কোনো সংবাদপত্রে ফলাফল প্রকাশ করা হবে না।
ফল প্রকাশ উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির ফলাফলের সার্বিক দিক তুলে ধরেন।
ফল পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগও রাখা হয়েছে। ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এ আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও টেলিটক বাংলাদেশের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল।