২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করে। এ বছর গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কম। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। যা আগের বছরের (১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন) তুলনায় ৪৩ হাজারেরও বেশি কম।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফল একযোগে প্রকাশ করা হয়।
ফল প্রকাশ উপলক্ষে এবারও কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, “ফলাফলে ভিন্নতা থাকলেও পরীক্ষার মান ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সঠিক ও স্বচ্ছ ছিল। ফলাফলের এই চিত্র আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারছে। ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গ্রহণ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার কমে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষার চ্যালেঞ্জকে সামনে এনে দিয়েছে। করোনা-পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন ঘাটতি, পাঠদানে অনিয়মিততা ও প্রস্তুতির অভাবকেই অনেকেই এই পতনের জন্য দায়ী করছেন।