আবাসন সংকট, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কর্মসূচিতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে লংমার্চ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন। কাকরাইল মোড়ে পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা সড়কে বসে পড়ে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন—‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, দিয়েছি রক্ত, আরও দেব রক্ত’ ইত্যাদি।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। হঠাৎ হামলায় অনেক শিক্ষার্থী দিকবিদিক ছুটোছুটি করে এবং ঘটনাস্থলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা।
এই লংমার্চের আহ্বান জানায় ‘জবি ঐক্য’ নামক শিক্ষার্থীদের একটি প্ল্যাটফর্ম। তাদের তিন দফা দাবি হলো—
আবাসন সুবিধা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ‘আবাসন বৃত্তি’ কার্যকর করতে হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে। যদিও সেখানে বাজেট ও আবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়, তবে দাবি মেনে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
এ বিষয়ে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক সংহতি সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।