সকল খবর দেশের খবর

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সংঘর্ষ থামাতে মাঠে ছিলেন ইউএনও রনী খাতুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনিন্দ্যবাংলা

প্রকাশ : ২৩-১-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৭১

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: শ্যামনগরে সংঘর্ষ থামাতে সাহসিকতার পরিচয় দিলেন ইউএনও

বংশীপুর থেকে শ্যামনগর প্রবেশের পথে প্রশাসনের বাধায় পিছু হটতে বাধ্য হওয়া নেতাকর্মীরা একপর্যায়ে ইসমাইলপুর এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নারী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন নিজের দেহরক্ষী আনছার সদস্যসহ পুলিশ সদস্যদের পিছু ফেলে দৌড়ে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আসাদুজ্জামান লিটন ও রবিউল জানান, সংঘর্ষের পরপরই ইউএনও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় উভয় পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন। এ সময় সাইফুল নামের এক আনছার সদস্য বুকে এবং শ্যামনগর থানার ওসি হুমমায়ুন কবীর পায়ে ইটের আঘাত পান, তবে তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইউএনওর নেতৃত্বে কাজ করেন।

স্থানীয় যুবদল সভাপতি সফিকুল ইসলাম দুলু বলেন, "একজন নারী হয়ে তিনি যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, তা খুবই প্রশংসনীয়।" তিনি আরও বলেন, "এভাবে সাহসিকতা দেখিয়ে সংঘর্ষ থামানো এক বিরল ঘটনা।"

এছাড়া, জেলা বিএনপির সদস্য আশেকই এলাহী মুন্না জানান, "অলৌকিকভাবে ইউএনও ম্যাডাম রক্ষা পেয়েছেন। তার সাহসী ভূমিকার কারণেই সংঘর্ষ থামানো সম্ভব হয়েছে।"

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. রনী খাতুন বলেন, "আমি জানি এমন কাজ করতে হতে পারে, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হতো। সংঘর্ষ থামানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ছিল আমার দায়িত্ব। আমি সকলকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।"

এ ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।