বাংলাদেশ থেকে আয়তনে ৪ গুণ বড় জাপানে জনসংখ্যা ১২কোটি। বর্তমানে জাপানে বৃদ্ধের সংখ্যা ৩৫% ভাগ। দিনদিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য এসব বৃদ্ধের সেবা করার মতো নার্সিং কেয়ার কাইগো নেই। জাপানে হাজার হাজার কেয়ারগিভার (নাসিং কাইগো) কর্মীর চাহিদা রয়েছে। মাসিক দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতনে চাকুরী সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজন শুধু জাপানীজ ভাষা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।
জাপানের স্বাস্থ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয় একটি প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন অফ ওয়েলফেয়ার সার্ভিস এর আয়োজনে ময়মনসিংহে জাপানে নার্সিং কেয়ার (কাইগো) কেয়ার গিভার বিষয়ে এক সেমিনারে এসব তথ্য জানান প্রধান অতিথি মিঃ ইগু সিচু। অনুষ্ঠানে আরো বিস্তারিত তুলে ধরেন, জাপানী এই প্রতিষ্ঠানের হিরুয়া ইয়াগুসি, ক সাকাছাতু ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি রিন তানাকা। বাংলায় অনুবাদ করেন ই,ডব্লিউ.বি ইন্টারস্যাশনাল লিঃ এর চেয়ারম্যান আসলাম খান ও খোকন মাহমুদ। ঢাকায় জাপান দুতাবাসের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে কেয়ার গিভার (কাইগো)এর পদে জাপান যাওয়া যাবে।
গত ৩১ জানুয়ারী-২০২৫ শুক্রবার বিকালে প্রায় ৩ঘন্টা ব্যাপী ভাটিকাশর পাদ্রীমিশন হলি ফ্যামেলী স্কুল মাঠে সালেসিয়ান সিস্টার্স নার্সিং কলেজের সহযোগিতায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হলি ফ্যামেলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিস্টার রোজ শান্তি গমেজ এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সালেসিয়ান নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার দোলিনা দ্রং (লিয়া)। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিস্টার কবরী মানখিন ও চন্দ্রায় রোজারিও। সেমিনারে ১২টি নার্সিং কলেজের ২ হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এসময় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ইনস্ট্রাক্টারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে আরো জানান, জাপানে দিনদিন যুবক কমে যাচ্ছে। মেয়েদের গড় আয়ু ৮৭ বছর আর ছেলেদের আয়ু ৮৪ বছর। শতায়ু অহরহ। এসব বৃদ্ধদের দেখাশুনার কেউ নেই। তারা জানান, জাপানে প্রথমে ৫ বছর থাকতে পারবে।পরে সেখানে থেকে জাতীয় পরিচর্যা কর্মী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে স্বপরিবারে আজীবন থাকতে পারবে। কেয়ার গিভার ছাড়াও কৃষি, বিল্ডিং নির্মাণকাজ, ক্লিনারসহ বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ পাবে।সেমিনারে বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।##