সকল খবর দেশের খবর

সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিদেশি নাগরিকত্বের অনুসন্ধান শুরু করেছে সরকার

অনিন্দ্যবাংলা :

প্রকাশ : ৩-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৩৫

আন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিদেশি নাগরিকত্বের বিষয়টি তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ২৪ জন এমপি, মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব বা রেসিডেন্স কার্ড থাকার বিষয়টি জানার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে।

আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করলে তিনি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে, একাধিক এমপি-মন্ত্রী এই আইন অমান্য করে বিদেশি নাগরিকত্ব গোপন রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যে ২৪ জন সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশি নাগরিকত্ব বা গ্রিন কার্ডও নিয়েছেন।

এমপি-মন্ত্রীদের বিদেশি নাগরিকত্বের বিষয়ে তথ্য জানার জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এবং মন্ত্রী-এমপি হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ মিশনগুলো থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গোপনে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বেলজিয়ামের রেসিডেন্স কার্ডের অধিকারী। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও জুনাইদ আহমেদ পলক যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী।

এছাড়াও, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে মো. তাজুল ইসলাম, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং মাহবুব আলীরও যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যে, বিদেশি নাগরিকত্ব গোপন করে কে কীভাবে সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হয়েছেন। পরবর্তীতে, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে দেশব্যাপী ১৮৮টি বাংলাদেশ মিশন বা দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিদেশি নাগরিকত্ব বা রেসিডেন্স কার্ড থাকার প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।