বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিদ্যালয়গুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়। এই প্রজ্ঞাপনটি জনস্বার্থে জারি করা হয়েছে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে যেসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হল:
১) বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সূত্রাপুর, ঢাকা এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কারকুনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
২) বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে তাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর।
৩) ১৬নং বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ১৬নং পাইকপাড়া পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৪) পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাজীপুর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া আরও বেশ কিছু বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
· শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে চর সতরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
· শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধামইরহাট, নওগাঁ এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে জগৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
· বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলপুর, ময়মনসিংহ এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
· ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরগঞ্জ, রংপুর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে সুবর্ণপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
· বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাগনভূঞা, ফেনী এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে পশ্চিম করমূল্যাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নতুন নামকরণ করা এসব বিদ্যালয়ের তালিকা নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যতে মানসম্মত শিক্ষা পরিবেশন করবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এ আদেশ জনগণের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।