বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গ্যাজেট এবং ইলেকট্রনিক্স

স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু হতে পারে !

অনিন্দ্যবাংলা :

প্রকাশ : ১৬-২-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৭৬

স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর গুঞ্জন দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এবার তা বাস্তব রূপ নিতে যাচ্ছে, কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস ও স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংক সেবা চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাবে, যা শহর-গ্রামের ডিজিটাল বিভাজন কমাতে সহায়ক হবে।

ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইনভিত্তিক কাজের সুযোগ বাড়িয়ে তরুণদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে স্টারলিংক। এ ছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দ্রুত যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে স্টারলিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্টারলিংক স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে, যার জন্য বিশেষ অ্যান্টেনা প্রয়োজন। এই অ্যান্টেনা পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।

স্টারলিংকের ইন্টারনেটের গতি ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ২২০ এমবিপিএস এবং আপলোডের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ২০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। তবে, সেবাটি ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীদের চড়া মূল্য গুনতে হবে। অ্যান্টেনা, রাউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য ৩৪৯ থেকে ৫৯৯ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩,০০০ থেকে ৭৪,০০০ টাকা) খরচ হবে। মাসিক সেবার খরচ প্রায় ১২০ ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৫,০০০ টাকা।

স্টারলিংক ২০২৩ সালে বাংলাদেশে সেবা চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছিল এবং পরীক্ষামূলকভাবে সেবা চালু করা হয়েছিল। তবে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার জন্য কিছু শর্ত প্রণয়ন করেছিল, যার মধ্যে একটি হলো 'আড়িপাতার সুবিধা' রাখা। কিন্তু স্টারলিংক তাদের গোপনীয়তা নীতির কারণে এই শর্ত মেনে নিতে রাজি নয়।

বর্তমান সরকার এই শর্ত পরিবর্তন করবে কিনা, অথবা স্টারলিংক তাদের নীতিতে কোনো ছাড় দেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, যদি শর্তগুলো পূর্ণ হয় এবং স্টারলিংক বাংলাদেশে সেবা প্রদান শুরু করে, তাহলে এটি উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করবে।