সকল খবর দেশের খবর

স্বাস্থ্য সংস্কার প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে!

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ৫-৫-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৬২

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে গঠিত কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

পরে বেলা পৌনে ১১টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন কমিশনের প্রধান ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের অন্য সদস্যরাও।

২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বাস্থ্যখাতের দুর্বলতা চিহ্নিত ও সংস্কারের লক্ষ্যে অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিশন গঠন করে। এতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য প্রশাসক, বিশেষজ্ঞ ও একজন চিকিৎসা শিক্ষার্থীকে সদস্য করা হয়।

কমিশনের সদস্যরা হলেন: অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব এস এম রেজা, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, ডা. আজহারুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।

প্রতিবেদনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—চিকিৎসকদের সঙ্গে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সরাসরি সাক্ষাৎ বন্ধ করা। সুপারিশে বলা হয়েছে, কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না; তাদের ওষুধসংক্রান্ত প্রস্তাব ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে হবে।

এছাড়াও, প্রেসক্রিপশনে ওষুধের জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও রিপোর্টে রয়েছে বলে জানা গেছে। এতে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করার প্রবণতা হ্রাস পাবে এবং ওষুধ কোম্পানির প্রভাব কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা গেলে স্বাস্থ্য খাতে মৌলিক পরিবর্তন আসবে এবং সাধারণ মানুষ এর উপকারভোগী হবেন।”

তিনি আরও লেখেন, “এই প্রতিবেদন বাস্তবায়নের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সময় সাশ্রয় হবে, উপহার ও ঘুষ লেনদেন কমে আসবে এবং স্বাস্থ্যসেবা আরও স্বচ্ছ হবে।”

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এখন সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।