জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে মুক্তিযুদ্ধকালীন নেতাদের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে বন্দি হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বিজয়ের আগপর্যন্ত পাকিস্তানের জেলে ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি সরাসরি মাঠে ছিলেন না।”
তার বক্তব্যে আরও উঠে আসে, “মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও, যুদ্ধ চলাকালীন নেতৃত্ব দেন তাজউদ্দীন আহমদ। তিনিই ছিলেন মাঠপর্যায়ে যুদ্ধ পরিচালনার মূল নেতা।”
সারজিস আলম প্রশ্ন তোলেন, “যিনি যুদ্ধ পরিচালনায় সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন, সেই তাজউদ্দীন আহমদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি কীভাবে বাতিল হয়? বরং মন্ত্রণালয়ের কাজ হওয়া উচিত ছিল আওয়ামী আমলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাদের সনদ বাতিল করা।”
তিনি বলেন, “যারা সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ করেছেন, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া অনুচিত ও অপ্রয়োজনীয়। ইতিহাস যেন কখনো ক্ষমতাসীনদের পক্ষের না হয়। ইতিহাসকে ইতিহাসের মতো করেই চলতে দেওয়া উচিত।”
সারজিস আলমের এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তোলে। অনেকে এটিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ ইতিহাসের নতুন আলোচনাকে স্বাগতও জানাচ্ছেন।