আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭১১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে এবং অংশ নিচ্ছে ১৮ হাজার ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭২৫টি কেন্দ্রে এবং অংশ নিচ্ছে ৯ হাজার ৬৩টি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।
চলতি বছরের পরীক্ষায় অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫ জন, যারা পূর্ববর্তী বছর এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল। এছাড়াও মানোন্নয়নের জন্য পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে আরও ১ হাজার ৮২৩ জন শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে নিয়মিত, অনিয়মিত এবং মানোন্নয়ন মিলিয়ে এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৩১ জন।
এক বিষয়ে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯০১ জন পরীক্ষার্থী। দুই বিষয়ে ৩৭ হাজার ৯ জন, তিন বিষয়ে ১০ হাজার ২১৪ জন এবং চার বিষয়ে পরীক্ষা দেবে ২ হাজার ৫৭৯ জন।
সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নিশ্চিত করতে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। প্রশ্নফাঁস ও গুজব প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠিত না হওয়া গণিত পরীক্ষাটি নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২১ এপ্রিল নেওয়া হবে।