ওপেন মেসেজ মুক্তমত

বিশ্ব গাধা দিবস আজ: অবহেলিত সহচরের দিন!

অনিন্দ্যবাংলা :

প্রকাশ : ৮-৫-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৫১

আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস—একটি অপ্রচলিত হলেও তাৎপর্যপূর্ণ দিন, যা বিশ্বজুড়ে গাধার গুরুত্ব ও অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যেই উদযাপন করা হয়। প্রাণীবিজ্ঞানী আর্ক রাজিকের উদ্যোগে ২০১৮ সালের ৮ মে প্রথমবারের মতো শুরু হয় এই দিবসটির পথচলা।

রাজিক মরুভূমিতে গবেষণা করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন, দীর্ঘদিন ধরে গাধা মানুষকে পরিশ্রমে সহায়তা করলেও এই প্রাণীটি অবহেলার শিকার। তার ভাবনা থেকেই গাধার সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে দিনটি পালন শুরু হয়।

বিশ্বের নানা প্রান্তে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গাধা এখনো দরিদ্র কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের পণ্য পরিবহন, চাষাবাদ এবং যাতায়াতে নির্ভরযোগ্য বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই মাধ্যম হিসেবেও বিবেচিত।

চীন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গাধা-সংখ্যার দেশ। সেখানে গাধার চামড়ায় থাকা একটি আঠালো উপাদান “ইজিয়াও” নামে পরিচিত, যা Traditional Chinese Medicine-এ হাঁপানি ও অনিদ্রার মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে ওষুধ শিল্পে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে দেশটিতে গাধার সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, যা প্রাণী অধিকার নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

বিশ্ব গাধা দিবসের মূল উদ্দেশ্য শুধু গাধার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা নয়; বরং এটি মানুষকে এই অবহেলিত প্রাণীর প্রতি সদয় আচরণ, যথাযথ যত্ন এবং সার্বিক সচেতনতার শিক্ষা দেয়। স্কুল-কলেজে দিবসটি উপলক্ষে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও শিক্ষামূলক আলোচনা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রাণীপ্রেম ও সহানুভূতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, "প্রতিটি প্রাণীই মূল্যবান"—এই উপলব্ধি সমাজে গড়ে তুলতে বিশ্ব গাধা দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ জাগাতে এমন উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হওয়া উচিত।