প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চারটি মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও নাগরিক সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ কর্মপদ্ধতি অটোমেশন, শতভাগ ইলেক্ট্রনিক ফাইল ব্যবহার, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ডেটার আন্তঃক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ম্যানুয়ালি ফর্ম পূরণের পরিবর্তে সিকিউর এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদানের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়গুলো নিজস্ব ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি করলেও সেগুলো আলাদা আলাদা সাইলোতে পরিণত হয়েছে। সরকারের এখন জরুরি দায়িত্ব হলো এই সাইলোগুলোর মধ্যে আন্তঃক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করা। তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রধান মন্ত্রণালয়গুলোতে পাইলট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে নাগরিক সেবার গতি ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ায় সরকারি কার্যক্রমের দক্ষতা ও জবাবদিহিতাও বৃদ্ধি পাবে।