সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা ও ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল পাবেন বলে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।
২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা এবং তাদের গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকের জন্য প্রবেশ পদে ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল এবং গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়। তবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি সরকারের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয়।
এরপর হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে এক মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশন নিষ্পত্তি করে রায় দেন। এ রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী রায় কার্যকর করার পথে আর কোনো বাধা রইল না।
এদিকে, আপিল বিভাগের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিটকারী প্রধান শিক্ষকরা। তারা বলেছেন, এ রায় শিক্ষকদের মর্যাদা ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা ও ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল কার্যকর হলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।