সকল খবর দেশের খবর

এমপিদের গাড়ি নিলামে!

অনিন্দ্যবাংলা :

প্রকাশ : ১৮-২-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৯৭

সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানি করা বিলাসবহুল ২৪টি গাড়িসহ মোট ৪৪টি গাড়ি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অনুষ্ঠিত এক নিলামে উঠেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই নিলামে, গাড়িগুলোর অধিকাংশই শো-রুমের দামের তুলনায় অনেক কম দর উঠেছে। বিশেষত, সাবেক এমপিদের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের গাড়িগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল বেশ কম।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর উঠেছে মাত্র তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, যেখানে শো-রুমে এ গাড়ির দাম ৮ কোটি টাকার বেশি। সাবেক এমপিদের আমদানি করা ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজারের মধ্যে ৯টি গাড়ির প্রতি কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেনি ক্রেতারা, এবং বাকি ১৫টি গাড়ির জন্য মাত্র অর্ধেকেরও কম দাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, এই দর নেমে যাওয়ার জন্য তারা আগামীতে পুনরায় নিলামের ব্যবস্থা করতে পারেন। ভবিষ্যতে গাড়িগুলোর পুনরায় নিলাম ও দাম নিয়ে আলোচনা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে আলোচনা হবে।

এমপিরা যে শুল্কমুক্ত সুবিধায় এই গাড়িগুলি আমদানি করেছিলেন, সে সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তারা এগুলি ফেলে যান। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে দেওয়া হয়, ফলে গাড়িগুলির শুল্ক আদায় করা হয়নি। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গাড়িগুলির নিলাম আয়োজন করার পর বেশিরভাগ গাড়ি প্রস্তাবিত দাম থেকে অনেক কম দর পায়।

নিলাম কমিটি জানিয়েছে, প্রথম নিলামে গাড়ি কেনার জন্য, রিজার্ভ ভ্যালুর ৬০ শতাংশ বা তার বেশি দরদাতা হতে হবে। সেক্ষেত্রে, গাড়ির দাম ছিল ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা মেলেনি।

এ বিষয়ে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার সাকিব হোসেন বলেন, "আমাদের প্রত্যাশা ছিল, এই বিলাসবহুল গাড়িগুলোর দাম ভালো উঠবে, তবে তা হয়নি। নিলামে ওঠা গাড়ির ব্যাপারে পরবর্তী সভায় আলোচনা হবে, আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এনবিআর।"

গাড়িগুলোর জন্য সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন, এস এম কামাল হোসেনের আমদানি করা গাড়ির জন্য তিন কোটি ১০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে অন্যান্য গাড়ির জন্য দর উঠেছে ২ লাখ থেকে ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে, যা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের শুল্কমুক্ত সুবিধার সঙ্গে যোগ করা আমদানি ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম।

এমন পরিস্থিতিতে, নিলামে অংশগ্রহণকারী কোম্পানির মালিক মো. ইব্রাহিম জানিয়েছেন, খুব অল্প দর দিয়ে তিনি বিড ধরেছেন, যাতে পরবর্তী নিলামে কিছু বেশি দামে গাড়িগুলি নিতে পারেন।