ভারতের গুজরাট রাজ্যে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান চালিয়ে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। গত শুক্রবার রাতভর আহমেদাবাদ ও সুরাট শহরে যৌথ বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এ তথ্য জানান। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, আহমেদাবাদ শহর থেকে ৮৯০ জন এবং সুরাট থেকে আরও ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।

মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি জানান, “রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অভিযান। গুজরাট পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে।” তিনি আরও বলেন, রাজ্যে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে তাদের গ্রেপ্তার করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া যারা এসব অভিবাসীদের আশ্রয় দিয়েছেন বা সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে অবস্থান করে গুজরাটে প্রবেশ করেছেন এবং সেখানে জাল পরিচয়পত্র ও নথি ব্যবহার করে বসবাস করছিলেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক পাচার ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদের মধ্যে অন্তত চারজন সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে, যাদের মধ্যে দু’জন স্লিপার সেলের সদস্য ছিলেন।

বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশ ও বসবাসে ব্যবহৃত জাল নথিপত্র তৈরি ও সরবরাহকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তারকৃতদের দ্রুত নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান সাংঘভি।

গুজরাটের এই অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে অবৈধ অভিবাসন ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইস্যু নতুন করে আলোচনায় এসেছে।