সকল খবর দেশের খবর

কোটা সংস্কারে ছাত্রঅধিকার পরিষদের নতুন বিবৃতি !

অনিন্দ্যবাংলা :

প্রকাশ : ৩-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৪৩

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণের সরকারি প্রজ্ঞাপন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ছাত্রঅধিকার পরিষদ। আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি বনি আমিন মোল্লা। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার কোটা সংস্কারের আন্দোলনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে, এ ধরনের কোটা ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বনি আমিন মোল্লা বলেন, "আমরা ২০১৮ সালে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম, যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে, যা আমাদের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক। জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদের কোটা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি, একটি পুরোনো বৈষম্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার মতো বিষয়।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তিতে কোনো ধরনের কোটা থাকতে পারে না। কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ছাত্র, তরুণ এবং জনতা নেতৃত্ব দিয়েছে। আমাদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র গঠনে এমন ধরনের কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।"

বনি আমিন মোল্লা বলেন, "শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও কোটা ব্যবস্থার বিলোপ দাবি করছি। রেলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও কোটা ব্যবস্থা বিদ্যমান, কিন্তু সেখানেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।"

এসময় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি উল্লেখ করেন, "আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছি এবং আমরা আবারো জানাচ্ছি, এ ধরনের বৈষম্য চলতে থাকলে ছাত্রঅধিকার পরিষদ তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন শুরু করবে।"

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র গঠনের জন্য কোটাব্যবস্থা বিলুপ্ত করতে হবে, অন্যথায় ছাত্রসমাজ এর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।"

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রঅধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন এবং কোটা সংস্কারের পক্ষে তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।