ময়মনসিংহ জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামাজ আদায়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা অবশেষে সমাধান হলো। জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুফিদুল আলমের উদ্যোগে এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দোতলায় নির্মিত হলো এক মনোরম ও শান্ত পরিবেশসমৃদ্ধ পাঞ্জেগানা মসজিদ। এই মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নামাজ আদায়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে দোতলার সরু বারান্দায় নামাজ আদায় করে আসছিলেন। একসঙ্গে অনেকে নামাজ পড়তে না পারায় অসুবিধা ও অস্বস্তির সৃষ্টি হতো। বিষয়টি নজরে আসার পর জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম দ্রুত উদ্যোগ নেন এবং স্বল্প সময়ে দোতলার ফাঁকা অংশে একটি পূর্ণাঙ্গ পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেন।
পরিচ্ছন্ন টাইলস করা মেঝে, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস, নিরাপদ ছাউনি এবং নামাজের সারি চিহ্নিত নকশা-সব মিলিয়ে এটি এখন এক প্রশান্তিময় ইবাদতের স্থান। প্রশাসনিক ব্যস্ততার ফাঁকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন নির্ভয়ে, একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম উদ্বোধনের সময় বলেন,“আমরা প্রতিদিন জনগণের সেবায় কাজ করি। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টিই হলো সেই কাজের মূল উদ্দেশ্য। তাই অফিসে কর্মব্যস্ততার মাঝেও যেন সবাই সময়মতো নামাজ আদায় করতে পারেন, সেই সুযোগ সৃষ্টি করাই এই পাঞ্জেগানা মসজিদ স্থাপনের মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন,“এটি শুধু নামাজ পড়ার জায়গা নয়-এটি হবে আত্মশুদ্ধির স্থান, সহকর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার একটি মাধ্যম।”
অফিসের কর্মচারীরা জানান, এ উদ্যোগে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। কেউ কেউ বলেন, আগে যেখানেই নামাজ পড়তে অসুবিধা হতো, এখন সেখানে একটি পরিচ্ছন্ন, প্রশান্ত ও নিরাপদ জায়গায় নামাজ আদায় করা যাবে-এটি সত্যিই একটি মানবিক ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, ডিসি মুফিদুল আলম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জেলা প্রশাসনে শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, জনসেবা এবং অফিস পরিবেশ উন্নয়নে একাধিক ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণ তার মানবিক ও ধর্মপ্রাণ দৃষ্টিভঙ্গিরই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
মসজিদটি এখন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের একটি অনন্য সংযোজন, যা শুধু নামাজের স্থান নয়-বরং নৈতিকতা, ঐক্য ও প্রশান্তির প্রতীক হয়ে থাকবে প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জীবনে।
– অনিন্দ্যবাংলা | ময়মনসিংহ