শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫ ১০:৫২:৪৭ পিএম
সকল খবর দেশের খবর

রমজান মাসে নিত্যপণ্যের আমদানি বৃদ্ধি, বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত !

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনিন্দ্যবাংলা

প্রকাশ : ১-২-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৮২

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: চলতি মাসের শেষে শুরু হতে যাচ্ছে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এই মাসে ইফতার ও সেহরির খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এসব পণ্যের মধ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, খেজুর, ছোলা, মসুর ডাল, মটর ডালসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। দেশের বাজারে এই পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। জানুয়ারি মাসে বিপুল পরিমাণ নিত্যপণ্য আমদানি হয়েছে, যা রোজার পুরো মাসের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টন, যা রোজার চাহিদা পূরণের তুলনায় বেশি। একইভাবে, চিনি আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। জানুয়ারি মাসে প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে, এবং এটি রোজার চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

এছাড়া, খেজুরের আমদানির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। জানুয়ারিতে ২২ হাজার টন খেজুর আমদানি হয়েছে এবং বড় চালান আসবে ফেব্রুয়ারিতে। পেঁয়াজের দাম কমে গেছে, কারণ দেশে পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। তাই, পেঁয়াজের বাজারে কোনো সমস্যা হবে না বলে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন।

আমদানিকারকদের মতে, ফেব্রুয়ারি মাসে আরও নিত্যপণ্য আমদানি করা হবে, ফলে সরবরাহ পরিস্থিতি আরও সুদৃঢ় হবে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে কিছু বড় শিল্প গ্রুপের আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও, নতুন নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্য আমদানি শুরু করেছে, ফলে কোনো ঘাটতি নেই।

বিশ্ববাজারের স্থিতিশীলতা এবং সরকারের শুল্ক ছাড়ের কারণে ব্যবসায়ীরা বর্তমানে পুরোদমে আমদানি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তবে, বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকারকে আরও কার্যকর তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

এছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রোজার পণ্য সরবরাহ হচ্ছে এবং গত জানুয়ারিতে বন্দরে ১২ লাখ ৬৭ হাজার টন পণ্য খালাস হয়েছে, যা বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করবে। ব্যবসায়ীদের মতে, রোজায় ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের তদারকি প্রয়োজন, যাতে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর সুযোগ না থাকে।

এদিকে, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী জানান, তারা পর্যায়ক্রমে নিত্যপণ্য আমদানি শুরু করেছে এবং তাদের লক্ষ্য হলো ভোক্তাদের প্রতিযোগিতামূলক দামে পণ্য সরবরাহ করা।