ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বর্তমানে এই তিন কর্মকর্তাই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১১ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহ বর্তমানে ওএসডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার করে ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯ (২) ধারা অনুযায়ী তাকে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একইভাবে, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের আদেশে তাকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সরকারি চাকরি আইনের একই ধারা অনুযায়ী তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তৃতীয় প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (২) ধারা অনুযায়ী তাকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাময়িক বরখাস্তের সময় মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী তিনি খোরপোষ ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।