যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নতুন করে কঠোর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩১ জন বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এতে চরম উদ্বেগ-আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে সেখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটি।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত একাধিক বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব বাংলাদেশির বৈধ কাগজপত্র নেই বা যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তারা এখন আত্মগোপনে চলে গেছেন। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের (আইসিই) হঠাৎ অভিযান ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেকে বাসা থেকেও বের হচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউইয়র্ক প্রবাসী এক বাংলাদেশি বলেন, “আমাদের পরিচিত অনেকেই কাজ ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। তারা ভয় পাচ্ছেন যে কোনো সময় ইমিগ্রেশন অফিসার এসে তুলে নিয়ে যেতে পারে।”

এমন পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। বহু রেস্তোরাঁ ও দোকানে কর্মচারীর অভাব দেখা দিয়েছে। প্রবাসী মালিকরা বলছেন, অভিবাসন ভীতির কারণে কর্মীরা কাজে অনুপস্থিত থাকছেন, যার ফলে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব বাংলাদেশির বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের এখনই আইনি সহায়তা নেওয়া জরুরি। অনেকে এরই মধ্যে অভিবাসন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক অভিবাসন আইনজীবী বলেন, “বর্তমানে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান বেড়েছে। বাংলাদেশিদের উচিত এখনই প্রয়োজনীয় আইনি প্রস্তুতি নেওয়া এবং কাগজপত্র হালনাগাদ রাখা।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই কঠোরতা অব্যাহত থাকে, তবে ভবিষ্যতে আরও কয়েকশ বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হতে পারে।