ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় এক অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কলতাপাড়া প্রগতি ফিড মিলের সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন, গৌরীপুর উপজেলার দুর্বাচর নামাবাড়ির ওবায়দুর রহমান আকন্দের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৯৫), ভাংনামারি চরের মোহাম্মদ মানিক মিয়ার স্ত্রী দিলরুবা (৪০), নগরীর নাটকঘর লেন এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে রীতি (১৪) ও প্রীতি (৭)।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, ভাংনামারি চরের নজরুল ইসলামের স্ত্রী শ্যামলী আক্তার (২০) ও মোহাম্মদ মানিক মিয়ার মেয়ে মাহি (১৪)। আহতদের মধ্যে শ্যামলী আক্তার ও মাহি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গৌরীপুর থানার ওসি মির্জা মাজাহারুল আনোয়ার জানান, ভোরে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি ছয়জন যাত্রী নিয়ে গৌরীপুরের দিকে যাচ্ছিল। কলতাপাড়া প্রগতি ফিড মিলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং সব যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাকি তিনজনকে ভর্তি করা হয়। পরে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু ঘটে।

ওসি মির্জা মাজাহারুল আনোয়ার আরও জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। অটোরিকশার চালকও ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং পালিয়ে থাকা চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দুর্ঘটনার জন্য দ্রুত গতির গাড়ি ও রাস্তার অবস্থা দায়ী করছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এছাড়া, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদান এবং দুর্ঘটনাস্থলে রাস্তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নাগরিকরা।