সকল খবর দেশের খবর

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার

অনিন্দ্যবাংলা :

প্রকাশ : ৯-৩-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০১৮

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আশরাফুল ইসলাম সিয়াম (২০) ও জিৎ সরকার (১৯)। রোববার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ধর্ষণের শিকার নারীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।  

শনিবার রাতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পাঁচগাও ঋষিপাড়া নয়াবাড়ী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নারীটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।  

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, নারীটির বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলায়। স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে তিনি গতকাল বাড়ি থেকে লঞ্চে করে ঢাকা সদরঘাটে আসেন। সদরঘাট থেকে কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া এলাকায় আসার পর রাত হয়ে যায়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দুই যুবকের সঙ্গে তার কথা হয়। তারা তাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও দুজন আগে থেকেই ছিল।  

ওসি আরও বলেন, তিনজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। চতুর্থজন ধর্ষণের চেষ্টা করলে নারীটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং দুজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নম্বর ২০ দায়ের করা হয়েছে। নারীটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে
এদিকে গত ৬ মার্চ মাগুরায় বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে আট বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুরসহ (৫০) ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

এছাড়াও নরসিংদীতে তিন দিন আটকে রেখে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আবদুল মালেক (২৫) উপজেলার মাওনা এলাকার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।  

সমাজে নারী ও শিশু নিরাপত্তা হুমকির মুখে
দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসব অপরাধ রোধে জোরালো ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।  

নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। পাশাপাশি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।