অনিন্দ্য আড্ডা লোক বাংলা

হারিয়ে যাওয়া গ্রামবাংলার ঐতিহ্য !

মজিবুর রহমান শেখ মিন্টু

প্রকাশ : ৯-২-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৭৬

হাজার বছরের বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে গ্রামবাংলায় ব্যবহার হওয়া কিছু জিনিস আজও আমাদের স্মৃতির অংশ। তবে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এসব ঐতিহ্য আজ বিলীনের পথে। গ্রামের পুরনো ব্যবহার্য জিনিসগুলি আমাদের সংস্কৃতির অমূল্য অংশ, কিন্তু আধুনিকতার কাঁধে চাপা পড়ে সেগুলি ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে। আজকাল অনেক প্রজন্ম এসবের সঙ্গে পরিচিতও নয়।

নিচে উল্লেখিত কিছু ঐতিহ্যবাহী গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া জিনিসের কথা আলোচনা করা হলো:

# ঢেঁকি: একসময় ঢেঁকি ছিল গ্রামবাংলার প্রতিটি বাড়ির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধান ভাঙার জন্য, মসলা ও ডাল ফাটানোর জন্য এর ব্যবহার ছিল অপরিসীম। তবে এখন মিলে ছাটা চাল, ডাল এবং মসলা এসেছে, ফলে গ্রামে ঢেঁকির ব্যবহার প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। তবে ঢেঁকিতে ভাঙা চালের উপকারিতা আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী, কারণ এতে ভিটামিনের পরিমাণ অনেক বেশি।

# কুপি বাতি: এক সময় কুপি বাতি ছিল গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে আলো জ্বালানোর একমাত্র মাধ্যম। বিশেষত অমাবস্যার রাতে কুপি বাতি ছিল গ্রামের অন্ধকারে একমাত্র আলোর উৎস। বর্তমানে বিদ্যুতের আগমনে কুপি বাতির চাহিদা কমে গেছে, তবে কিছু গ্রামে এখনও এটি পুরনো দিনের স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেছে।

# খড়ম (পাদুকা): খড়ম ছিল এক সময় গ্রাম বাংলার পাদুকা বা জুতা। কাঠ দিয়ে তৈরি হওয়া এই পরিবেশবান্ধব খড়ম ছিল খুবই জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে প্লাস্টিক, চামড়া বা রেকসিন দিয়ে তৈরি জুতা প্রচলিত হয়েছে, ফলে খড়মের ব্যবহার আর নেই বললেই চলে।

# ইঁদারা বা পাতকুয়া:
প্রাচীন সময়ের কুয়া বা ইঁদারা ছিল জল সঞ্চয় ও পানির উৎস। জমিদার বাড়ির কুয়াগুলোতে পাইপ ব্যবহার করে পানির পরিশোধন করা হত। এখনকার আধুনিক নলকূপের কারণে ইঁদারা বা কুয়া হারিয়ে গেছে, তবে কিছু পুরানো জমিদার বাড়িতে এখনও সেগুলি দেখা যায়।

# শিকা ছেড়া ও গ্রামবাংলার শিকা: শিকা ছিল গ্রামীণ বধূদের এক প্রকার হস্তশিল্পের নিদর্শন, যা পল্লী জীবনের অঙ্গ ছিল। ঘরের বিভিন্ন জিনিস শিকায় ঝুলিয়ে রাখা হত। শিকার রঙিন হয়ে উঠত এবং মাঝে মাঝে নতুন হাঁড়ি-পাতিল ঝুলিয়ে রাখা হত। আজকাল শিকার ব্যবহার একেবারেই কমে গেছে।

# পালকি : পালকি একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী বাহন, যা এক সময় বাংলার অভিজাত শ্রেণির প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম ছিল। এটি মূলত ১ বা ২ জন যাত্রী বহন করতে ব্যবহৃত হতো, যেখানে ২, ৪ বা ৮ জন বাহক পালকিটি কাঁধে তুলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যেত। পালকি শব্দটি সংস্কৃত ‘পল্যঙ্ক’ থেকে উদ্ভূত এবং বাংলায় এটি পালকি নামে পরিচিত।

রামায়ণে পালকির উল্লেখ রয়েছে এবং ইবনে বতুতা ও জন ম্যাগনোলি তাদের ভ্রমণের সময় পালকি ব্যবহার করতেন। সম্রাট আকবরের সময় থেকে সেনাধ্যক্ষদের যাতায়াতের অন্যতম বাহন ছিল পালকি। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে বিয়ে ও অন্যান্য শুভ অনুষ্ঠানে পালকির ব্যবহার ছিল জনপ্রিয়। এছাড়াও অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসালয়ে নেওয়ার জন্যও পালকি ব্যবহৃত হতো।

পালকি বিভিন্ন আকারে তৈরি হতো, যেমন সাধারণ পালকি, আয়না পালকি এবং ময়ূরপঙ্খি পালকি। সাধারণ পালকি ছিল আয়তাকার, কাঠ দিয়ে আবৃত এবং ছাদের উপরে ঢালু আচ্ছাদন ছিল। আয়না পালকিতে আয়না লাগানো থাকতো, আর ময়ূরপঙ্খি পালকি ময়ূরের আকৃতিতে তৈরি করা হতো, যা ছিল সবচেয়ে বড় এবং সজ্জিত।

ইউরোপীয় বণিকরা ১৭ ও ১৮ শতকে পালকি ব্যবহার করতেন এবং এক সময় এটি অভিজাতদের এক চিহ্ন ছিল। তবে ১৭৫৮ সালে কোর্ট অব ডিরেক্টরস কর্মচারীদের পালকি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। উনিশ শতকের প্রথম দিকে ডাক বিভাগ স্টেজ পালকি চালু করেছিল, কিন্তু স্টিমার ও রেলগাড়ির আবির্ভাবের সাথে পালকির ব্যবহার কমে যায়।

১৯৩০-এর দশকে রিক্সার প্রচলন হলে পালকির ব্যবহার দ্রুত কমে যায় এবং বর্তমানে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি মূল্যবান ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত। পালকি এখন অতীতের স্মৃতি এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিচিত।

# গরুর গাড়ি : গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় যোগাযোগের মাধ্যম ছিল গরুর গাড়ি। কৃষি ও মালপত্র পরিবহনের এই ঐতিহ্যবাহী বাহন আজ কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে, কারণ আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার গতি বেড়েছে।

গরুর গাড়ি ছিল দুই চাকাবিশিষ্ট একটি বাহন, যা গরু বা বলদ টেনে নিয়ে চলত। এটি খ্রিস্টের জন্মের ১৬০০ থেকে ১৫০০ বছর আগে সিন্ধু অববাহিকা ও ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছিল এবং ধীরে ধীরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।

একসময় গ্রামাঞ্চলে গরুর গাড়ি ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠানও কল্পনা করা যেত না। বরযাত্রীদের পরিবহনের জন্য গরুর গাড়ি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাহন। গরুর গাড়ির চালককে 'গাড়িয়াল' বলা হত এবং তাদের নিয়ে রচিত ছিল বিভিন্ন জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান। তবে আজকাল মোটরগাড়ি, ট্রাক, পাওয়ার টিলার, লরি এবং নসিমন-করিমন ব্যবহারের কারণে গরুর গাড়ির ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে।

গরুর গাড়ির সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল এটি পরিবেশবান্ধব ছিল। এতে কোনো জ্বালানি ব্যবহৃত হতো না, ফলে এটি পরিবেশে ধোঁয়া ছড়াত না এবং ধীরগতির কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কম ছিল। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী বাহনটির ব্যবহার এখন প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন আর গ্রামেও সহজে চোখে পড়ে না গরুর গাড়ি, যা এক সময় ছিল আমাদের গ্রামবাংলার অমূল্য ঐতিহ্য।

# মাটির সানকি : সানকি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতে তৈরি এক ধরনের মৃৎপাত্র যা এই অঞ্চলের মৃৎশল্পের সর্বপ্রাচীন ও উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম। অঞ্চলভেদে এটি সানক বা শানকি নামেও পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ (বাংলা নববর্ষ) পালনে মাটির সানকিতে পান্তা-ইলিশ পরিবেশন বেশ পুরনো একটি বাঙালি প্রথা। পূর্বে বাংলাদেশ, চীনসহ বিভিন্ন দেশে মাটির সানকির বহুল ব্যবহার ছিল। গ্রামীণ জনপদে খাবারের থালা হিসেবে এবং রান্না শেষে গরম খাবার রাখার কাজে এটি ব্যবহার করা হত। মাটি পুড়িয়ে তৈরি করায় এটি সাধারণত লালচে রঙের হয়। সানকি তৈরিতে বেলে ও কালো এঁটেল মাটি ব্যবহার করা হয় যাতে বেলে ও এঁটেল মাটির অনুপাত থাকে।

# নৌকা : নৌকা বা নাও একটি ছোট জলযান, যা প্রমোদ ভ্রমণ এবং ক্রীড়ায় ব্যবহৃত হয়, তবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতে এটি এখনও স্থানীয় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। বর্ষাকালে নৌকার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়, আর নৌকার চালককে মাঝি বলা হয়।

নৌকার অংশগুলো হলো: খোল, পাটা, ছই, হাল, দাঁড়, পাল, মাস্তুল, নোঙর, গলুই, বৈঠা, লগি, এবং গুণ। নৌকা প্রধানত কাঠ দিয়ে তৈরি হলেও ছই বা ছাউনীতে বাঁশ ব্যবহার হয়, খোল জলরোধে আলকাতরা দিয়ে সিল করা হয় এবং লগি বাঁশের তৈরি।

ইতিহাসের দিক থেকে, নৌকার ব্যবহার প্রায় ৪০,০০০ বছর পুরনো। প্রাচীনতম নৌকা নেদারল্যান্ডসে পাওয়া গেছে, যা পিনাস সিলেভেস্ট্রিস গাছের কাণ্ড থেকে তৈরি, এবং এর বয়স প্রায় ৮,০০০ বছর।

নৌকা তাই বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি অমূল্য অংশ, যা প্রাচীনকাল থেকেই যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

# মটকা : মটকা মাটি থেকে তৈরি করা একপ্রকার বিশালাকৃতির পাত্র, যা দেখতে অনেকটা কলসের মতো মনে হয়। এজাতীয় পাত্রে সাধারণত চাল সংরক্ষণ করা হয়। সাধারণ্যের পর্যবেক্ষণজাত সত্য হচ্ছে, মটকায় রাখা চালে সহজে পোকা ধরে না এবং চালের গন্ধ ও স্বাদ দির্ঘদিন অটুট থাকে। তাছাড়া মাটি থেকে তৈরি বলে এজাতীয় পত্রের সংস্পর্শে থাকার ফলেও চালে কোনো ক্ষতিকারক উপাদান মিশে না।

প্রথমে নরম এঁটেল দোআঁশ মাটি সংগ্রহ করা হয়, সাধারণত ধানী জমি কিংবা নদীর গর্ভ থেকে। সেই মাটিকে ভালোমতো দলিতমথিত করে জমিয়ে রাখা হয় এক স্থানে। তারপর সেখান থেকে মাটির হালকা একটা স্তর এনে একটা কড়াই-আকৃতির জিনিসে মটির স্তরটি বসিয়ে মটকার তলা বানানো হয়। তারপর সেই তলার পাশ দিয়ে আরো আরো স্তর যোগ করে মটকার কিনারা তৈরি করা হয়। অনেক সময় আগে থেকে তৈরি করা রিং পরিয়ে দেয়া হয় স্তরে স্তরে। এসময় আগের স্তরের সাথে নতুন স্তরকে আটকে দেবার জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে জোড়াগুলোকে ভিজিয়ে পলিশ করে নেয়া হয়। কখনও কখনও সামান্য গোলাকৃতি কোনো বস্তু দিয়ে ভিতর থেকে চাপ দিয়ে মটকার গোলাকৃতি বজায় রাখা হয়। সবশেষে কলসের মতো গলার অংশের একটা স্তর যোগ করা হয়। সাধারণত কলস যেভাবে চাকার উপর রেখে বানানো হয়, মটকার বিশাল আকৃতির কারণে সেভাবে বানানো সম্ভব হয় না। মাটির থৈরি মটকা এরপর রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। পুড়িয়ে নেয়ার আগে মাটি খোদাই করে কিংবা পুড়িয়ে নেয়ার পরে রং দিয়ে অনেক সময় মটকায় নকশাও করা হয়। সাধারণত নকশায় গ্রাম্য মোটিফ ফুটে ওঠে। হিন্দু পরিবারগুলোতে মটকার মধ্যে বিভিন্ন মাঙ্গলিক চিহ্ন আঁকার প্রচলনও দেখা যায়।

# ঢেঁকি : গ্রামাঞ্চলে এখনও প্রচলিত রয়েছে প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী ধান ভানা ও আটা তৈরি করার কাঠের যন্ত্র, ঢেঁকি। যদিও আধুনিক প্রযুক্তির কারণে ধান ভানা যন্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় চাল কলের ব্যবহার বেড়েছে, তবুও অনেক কৃষক আজও ঢেঁকির মাধ্যমে ধান ভানার প্রাচীন পদ্ধতি অনুসরণ করেন।

ঢেঁকি মূলত কাঠের একটি বড় যন্ত্র, যার একদিক থাকে সিলিন্ডার আকৃতির কাঠ, যা মুষলের কাজ করে। এই যন্ত্রটি সাধারণত ২-৩ জন মহিলা পরিচালনা করেন। মহিলারা পালাক্রমে মুষল উত্তোলন করে এবং শস্যে নতুন ধান যোগ করে থাকেন।

বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই পদ্ধতি এখনো কার্যকর হলেও, আধুনিক চাল কল ও রাইস মিলের কারণে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার কমছে। তাছাড়া, মহিলাদের এই কুটির শিল্পে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক সময় সামাজিক বিধিনিষেধও বাধা সৃষ্টি করে।

# হাতপাখা : গ্রীষ্মকালে গরম থেকে মুক্তি পেতে হাতপাখা একটি জনপ্রিয় এবং প্রাচীন উপকরণ। গ্রিক-রোমান যুগে রাজাদের সিংহাসনের পাশে ময়ূরের পালক দিয়ে হাতপাখা ব্যবহার হত, যা ছিল রাজকীয় সজ্জার অংশ। প্রাচীনকালে সাধারণ মানুষও বেত, বাঁশ, তালের পাতা বা কাপড় দিয়ে তৈরি হাতপাখা ব্যবহার করতেন।

এখনকার আধুনিক সময়ে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন উপাদান থেকে তৈরি হাতপাখা পাওয়া যায়। নকশি পাখা, যা সাধারণত সুতা দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ করা হয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়। তালপাতা দিয়ে তৈরি পাখা, যেটি শীতের মাঝামাঝি সময়ে তৈরি শুরু হয় এবং গ্রীষ্মকালে ব্যবহৃত হয়, এখন কিছুটা কমে গেছে। তবে বিদ্যুতের সরবরাহ ও তালগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই ঐতিহ্যবাহী হাতপাখার উৎপাদন প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে কমছে।

এছাড়া, বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের তৈরি হাতপাখার ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূলত কল থেকে তৈরি হয় এবং সাধারণত সস্তা ও টেকসই। তবুও, প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসরণ করে আজও বিভিন্ন অঞ্চলে হাতপাখার ব্যবহার চলমান।

প্রাচীন গ্রামবাংলার কিছু ঐতিহ্য আজ আমাদের অজানা হয়ে যাচ্ছে। প্রাচীন নারী-পুরুষরা যখন এসব পুরনো জিনিসের কথা বলেন, তখন নতুন প্রজন্ম সেগুলো কৌতূহল নিয়ে শুনে। এইসব হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য আজ শুধুই স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। আধুনিকতা আমাদের জীবনে নানা সুবিধা নিয়ে এসেছে, তবে আমাদের ঐতিহ্যও মূল্যবান। এজন্য, আমাদের উচিত এই প্রাচীন ঐতিহ্যগুলিকে ধরে রাখা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে তা জানানো, যাতে তারা এ থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়।