বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। গতকাল শুক্রবার বিকালে তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার পদত্যাগের খবরটি মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সময় প্রকাশ পায়। মঞ্চে থাকা শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জামিল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে, অনেকেই তার এই পদত্যাগের বিরোধিতা করেন এবং তিনি তার অবস্থানে অনড় থাকার কথা বলেন। পরে নিজের আত্মপক্ষ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওপরও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, "কোনো চিঠি ছাড়া শিল্পকলা একাডেমি থেকে টাকা দেওয়ার কোন অধিকার নেই! আমি তার প্রজেক্টে ‘না’ বলেছি, কারণ চিঠি ছাড়া টাকাপয়সা পাওয়ার দাবি ঠিক নয়।"
এদিকে, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট উপদেষ্টাদের পুনঃবণ্টন করে ড. আসিফ নজরুলকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ১০ নভেম্বর সংস্কৃতি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সৈয়দ জামিল আহমেদ তার পদত্যাগের লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে আসার সময় আমি মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টাদের কাছে শর্ত দিয়েছিলাম, একাডেমির স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখে কাজ করতে হবে। তবে উপদেষ্টা পরিবর্তনের পর থেকে আমি নানা অযাচিত হস্তক্ষেপের মুখে পড়ি। একাডেমির কার্যক্রমে বিভিন্ন বাধা তৈরি করা হয়, যা আমার কাজের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”
এছাড়া, তিনি বলেন, “একাডেমির আইন অনুযায়ী প্রতি তিন মাস অন্তর একাডেমির সভা করার বিধান থাকলেও উপদেষ্টা তা অনুমোদন করতে ৫ সপ্তাহ সময় নিয়েছেন, যা তার বিরুদ্ধে আমার ক্ষোভের কারণ।”
জামিল আহমেদ আরও জানান, “অযাচিত হস্তক্ষেপ, বাজেট কর্তন, এবং একাডেমির অভ্যন্তরে কাজের পরিবেশ ব্যাহত করার কারণে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।”
এই পদত্যাগের মাধ্যমে তিনি শিল্পকলা একাডেমির মধ্যে চলমান অস্থিরতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার প্রতি তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।