মাত্র ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে নজিরবিহীন কীর্তি গড়লেন ভারতের বিস্ময়বালক বৈভব সূর্যবংশী। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে ৩৮ বলে ১০১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে রেকর্ড বইয়ে একাই লিখে গেলেন একাধিক নতুন অধ্যায়।
গুজরাটের ২১০ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন বৈভব, যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। আগের রেকর্ডটি ছিল ইউসুফ পাঠানের, যিনি ২০১০ সালে করেছিলেন ৩৭ বলে শতরান।
এই সেঞ্চুরির দিনে বৈভব হয়ে উঠেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। এতদিন এই রেকর্ড ছিল বিজয় জোলের দখলে, যিনি ১৮ বছর ১১৮ দিনে শতরান করেছিলেন। বৈভব ভেঙেছেন আরও একটি রেকর্ড—সবচেয়ে কম বয়সে আইপিএলে ফিফটি। আগের রেকর্ডটি ছিল রিয়ান পরাগের, ২০১৯ সালে ১৭ বছর ১৭৫ দিন বয়সে ফিফটি করেছিলেন তিনি।
বিস্ময়কর এই ইনিংসে বৈভবের ১০১ রানের ৯৩.০৬ শতাংশই এসেছে চার-ছক্কা থেকে, যা আইপিএলে শতরান ইনিংসে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি-নির্ভর রান। এ তালিকায় আগের রেকর্ড ছিল যশস্বী জয়সওয়ালের, যিনি ২০২৩ সালে ১২৪ রানের ইনিংসে ৯০.৩২ শতাংশ রান করেছিলেন বাউন্ডারিতে।
১১টি ছক্কা হাঁকিয়ে এক ইনিংসে আইপিএলে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন বৈভব। এত ছক্কা আর কেউ হাঁকাননি রান তাড়ার ম্যাচে—শুধু সনাৎ জয়সুরিয়া ছিলেন এই তালিকায়, এখন পাশে যোগ হলেন বৈভব।
এছাড়া মাত্র তৃতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে তিনি গড়েছেন আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচে শতরান পাওয়ার রেকর্ড, যেখানে মনীশ পান্ডে, পল বালথ্যাটি ও প্রিয়াংশ আর্য পেয়েছিলেন চতুর্থ ম্যাচে।
এক ইনিংসেই রেকর্ডের পাহাড় গড়ে বৈভব সূর্যবংশী জানিয়ে দিলেন—এটা কেবল শুরু।