রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গোটা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রাণঘাতী এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ অন্তত শতাধিক মানুষ। তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শোক দিবসে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একইসঙ্গে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এ ছাড়া, নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই, দুপুর সোয়া ১টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুলের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
বিমান বিধ্বস্তের ফলে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকট শব্দে আকাশ থেকে আগুনের গোলার মতো একটি বস্তু নেমে আসে এবং মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্কুল ভবনের একটি অংশসহ পার্শ্ববর্তী স্থাপনাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরকারিভাবে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।