রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি প্রশিক্ষণ নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিমান ছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তারা এই তথ্য নিশ্চিত করে।
আইএসপিআর জানায়, মাইলস্টোনের ঘটনার পর কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, বিমানটি ছিল একটি ‘প্রশিক্ষণ বিমান’। বিষয়টি স্পষ্ট করতে তারা জানায়—এফটি-৭ বিজিআই মডেলের বিমানটি ছিল যুদ্ধে ব্যবহারের উপযোগী একটি যুদ্ধবিমান, যা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ব্যবহৃত হচ্ছিল। অর্থাৎ এটি প্রশিক্ষণের অংশ হলেও, নিজস্ব সক্ষমতায় এটি একটি পুরোদমের যুদ্ধবিমান।
গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি রাজধানীর কুর্মিটোলা বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে একটি দোতলা একাডেমিক ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত অন্তত ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশেষ করে নিহতদের অধিকাংশই স্কুলের শিক্ষার্থী হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাস্তায়ও প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নাগরিকরা।
আইএসপিআরের এ ব্যাখার পর বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ চালানো কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।