চুলের অকালপক্কতা একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে তরুণ বয়সেই অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। তবে এখন আর চিন্তার কিছু নেই। জাপানের নাগোয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা চুল পাকার এই সমস্যার সমাধান হিসেবে একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আবিষ্কার করেছেন, যা চুলের রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করবে এবং অকালপক্কতা রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি হলো লুটিওলিন, যা বিশেষ করে ফল এবং সবজিতে পাওয়া যায়। গাজর, ব্রকোলি, পালংশাক, লেটুস, বাঁধাকপি, ফুলকপি সহ বিভিন্ন শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে লুটিওলিন থাকে। ফলের মধ্যে আঙুর, আপেল, পেয়ারা, স্ট্রবেরি এবং চেরি এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এই উপাদানটি মেলানোসাইট কোষের ভারসাম্য বজায় রেখে চুলের রঙ ধরে রাখে এবং মেলানিন উৎপাদনে সহায়তা করে।
মেলানোসাইট কোষই চুলের রঙের জন্য দায়ী, যা চুলের গোড়ায় থাকে এবং মেলানিন তৈরি করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অথবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ, লিভারের অসুস্থতা, এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণে এই কোষের কাজ ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে চুলে পাকা ধরা শুরু হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, লুটিওলিন মেলানোসাইট কোষের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পারে এবং চুলের রঙের সুষমতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়া, লুটিওলিনের আরও একটি গুণ হলো এটি প্রদাহনাশক এবং ক্যানসার প্রতিরোধক। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি ডায়েটে লুটিওলিন সমৃদ্ধ ফল এবং সবজি অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তবে চুলের অকালপক্কতা কমবে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হবে।
গবেষক মাসাশি কাতো এবং তাকুমি কাগাওয়া জানান, লুটিওলিন ছাড়াও হেসপেরেটিন এবং ডায়োসমেটিন নামক দুটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নিয়ে তাদের গবেষণা চলছিল, তবে লুটিওলিনই সবচেয়ে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।
তাদের পরামর্শ, এখনই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে লুটিওলিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি পেতে পারেন সুস্থ ও সুন্দর চুল।