অন্যান্য খবর রাজনীতি

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে সংকট বাড়বে: আনিসুল ইসলাম

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ১১-৯-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০১০

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় পার্টিও আগামী জাতীয় নির্বাচন চায়, তবে তার আগে দেশে নির্বাচন উপযোগী সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তার মধ্যে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার আনিস বলেন, দেশে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, রাজনৈতিক মামলা বাণিজ্য, ও মব সন্ত্রাস চলমান। এর মধ্য দিয়ে কোনোভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকারকেই এই বিষয়টি গভীরভাবে ভাবতে হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। সরকার দাবি করলেও সেই মামলাগুলো থেকে সাধারণ মানুষ বা রাজনীতিকদের রেহাই দিচ্ছে না। বরং এই মামলা থেকে মুক্তি দিতে যে নতুন আইন করা হয়েছে, সেটির কার্যকারিতাও দেখা যাচ্ছে না। যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তারা যদি মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হন, তবে তারা কিভাবে জনসংযোগ বা প্রচারণা চালাবেন, সেটাও সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে।

দলের প্রতীক ‘লাঙ্গল’ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আনিস বলেন, জাতীয় পার্টি নিয়ম মেনে কাউন্সিল করেছে, আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করেছে। তাই ‘লাঙ্গল’ প্রতীক আমাদের দলের কাছে থাকবে এবং সেটিই আমরা ব্যবহার করবো।

ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিজয়কে স্বাগত জানিয়ে ব্যারিস্টার আনিস বলেন, “এই নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, শুধু সংগঠন বড় হলেই হবে না, জনসমর্থন না থাকলে বিজয় পাওয়া যায় না। ডাকসু আমাদের শিক্ষা দিয়েছে—ভালো রণকৌশল, কঠোর পরিশ্রম এবং জনসম্পৃক্ততা থাকলে সফলতা আসে।”

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিজয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “ডাকসুতে ছাত্ররা পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা এই রায়কে সম্মান করি। ছাত্রশিবির তাদের কৌশল ও পরিশ্রম দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে, তাদেরকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।”

তিনি আরও বলেন, “অহংকার ও আত্মতুষ্টির ফলাফল কী হয়, তা ডাকসু নির্বাচন এবং গত বছরের ‘জুলাই বিপ্লব’ আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে। তাই আমাদের বিনয়ী থেকে দলকে সংগঠিত করতে হবে।”

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।