২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া ও তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। প্রতিজনের চিকিৎসার পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
বুধবার (৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
তিনি বলেন, “আহতদের চিকিৎসায় সরকারের লক্ষ্য ছিল সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা, শুধুমাত্র অর্থ ব্যয় নয়। দেশের যেসব বিশেষায়িত হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাদেরকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে।”
ফারুক ই আজম জানান, আহতদের পুনর্বাসনে সরকার বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি বলেন, “আহত ব্যক্তিদের মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হচ্ছে, এককালীন অনুদানও প্রদান করা হয়েছে। তাদের আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার জন্য একটি হেলথ কার্ড প্রদান করা হয়েছে, যা দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে কার্যকর থাকবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এদের চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আহত ব্যক্তিদের পছন্দ অনুযায়ী পুনর্বাসন করা হবে। যাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি নিশ্চিত করা হবে। তবে এই আন্দোলন কোটাবিরোধী হওয়ায় তাদের জন্য আলাদা কোনো কোটা সুবিধা রাখা হচ্ছে না।”
আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, স্কপের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের হাওলাদার, এবং ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলনে অংশ নিয়ে যারা জীবন বাজি রেখেছেন, তাদের অবদান রাষ্ট্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।