হার্ট সুস্থ রাখতে খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য অবশ্য দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি। হার্ট সুস্থ রাখতে যা খাবেন:
স্পিনাচ, কলি এসব সবুজ শাকগুলোতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এসব উপাদান ধমনীকে সুরক্ষা দেয় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে- সবুজ শাক হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রসুন
রসুন
হার্টের জন্য অনেক ভালো। নিয়মিত রসুন ব্লাঞ্চিং (গরম পানিতে ২ মিনিট
ফুটানো) করে খেলে অথবা তরকারিতে আস্ত রসুন খেলে হার্ট সতেজ থাকে।
কমলা
কমলায়
রয়েছে পেকটিন নামের আঁশ, যা কোলেস্টেরল কমাতে বেশ সহায়ক। এতে আরো আছে
পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকৃতির কমলায় ৬২
ক্যালরি থাকে এবং তিন গ্রাম আঁশ থাকে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কমলাকে
স্থান দিন।
বাদাম
এক মুঠো বাদাম যেমন- কাজু বাদাম, চীনা বাদাম, হেজেলনাট, আখরোটসহ অন্যান্য বাদাম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খু্বই উপকারী। এই বাদামগুলো প্রোটিন, আঁশ, খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আখরোটে উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।
বেরি
হার্ট
সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফলটি। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি,
ব্ল্যাকবেরি এবং রাস্পবেরির মতো ফলে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে
যা হার্টকে সুরক্ষা করে। মানসিক চাপ এবং প্রদাহ মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বেরি ফল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট মস্তিষ্কের নার্ভ সিস্টেমকে সতেজ রাখে। এতে হাইপারটেনশন বা হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
মাশরুম
মাশরুমে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন আছে যা হার্ট অ্যাট্যাকের পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
টকদই
টক
দইয়ে প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া পাওয়া
যায়। টকদই হার্টের সুরক্ষা করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজমের
উন্নতি ঘটায় সর্বোপরি শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
বীজ জাতীয় খাবার
তিল, সিয়াসিডের মতো বিচিজাতীয় খাবার ওমেগা ফ্যাটিঅ্যাসিডে ভরপুর। ওমেগা৩ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
ওটমিল
ওটমিলে
রয়েছে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ, যা হার্টের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা
করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওটস এলডিএল এবং কোলেস্টেরল কমিয়ে আনতে সক্ষম।
গ্রীন টি
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি খুবই কার্যকরী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিন টি শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, গ্রিন টি রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। পাশাপাশি, গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।
সামুদ্রিক মাছ