অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: শরীরে জমা টক্সিন দূর করার জন্য অনেকেই নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো জল পান করেন। এই পানীয়টি শুধু ত্বকের জন্য নয়, চুলের স্বাস্থ্যও উন্নত করতে পারে, এমনটি জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। বিশেষ করে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ার জন্য এটি ঘরোয়া এক অসাধারণ উপাদান। কিন্তু কেবল ত্বক নয়, চুলের সমস্যাও দূর করতে এই পানীয়ের রয়েছে অদ্ভুত ক্ষমতা।
কিশমিশে কী কী উপাদান রয়েছে?
কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন ত্বককে টান টান এবং সতেজ রাখতে কাজ করে। কিশমিশে আরও পাওয়া যায় বিভিন্ন খনিজ উপাদান, যা হেয়ার ফলিকল মজবুত করতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে, চুলের ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছানোর কাজও করে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উপস্থিতি কিশমিশে শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এতে চুল ঝরে পড়া কমে আসে এবং অকালপক্বতা রোধেও সহায়ক। কিশমিশে থাকা আয়রন মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে, যার ফলে চুলের পুষ্টি যোগানো সম্ভব হয়।
কিভাবে খাওয়া উচিত কিশমিশ ভেজানো জল?
সকালে খালি পেটে রোজ কিশমিশ ভেজানো জল খাওয়া যায়। এর জন্য আগের দিন রাত থেকে কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেই পানি খেয়ে নিতে হবে। চাইলে কিশমিশ-সহ পানীয়টি খেতে পারেন।
চুলের জন্য কিভাবে ব্যবহার করবেন?
কিশমিশ ভেজানো জল মাথার ত্বক এবং চুলেও ব্যবহৃত হতে পারে। রূপচর্চা বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিশমিশের এই জল মাথার ত্বকে স্প্রে করলে ত্বক এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। তবে যাদের ত্বকে অ্যালার্জি রয়েছে, তারা ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেবেন, যাতে কোনো অস্বস্তি না হয়।
চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে, কিশমিশ ভেজানো জল হতে পারে আপনার নতুন সুস্থতার উপায়। নিয়মিত ব্যবহারে আপনি নিশ্চিতভাবেই পাবেন কুঁচকে যাওয়া চুল, ঝকঝকে ত্বক এবং সজীব আভা।