জীবনযাত্রা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

মন ভালো রাখতে কী করবেন?

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ২৪-৫-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০৩৫

স্বাস্থ্য বলতে শুধু শরীর নয়, মনও বোঝায়—এই সত্যটি আমরা অনেক সময় উপেক্ষা করি। অনেকের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অবসাদ বা একাকিত্বের কারণে ভোগেন তারা। অথচ দৈনন্দিন জীবনে সামান্য কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনে সহজেই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভালো মানসিক স্বাস্থ্য না থাকলে কর্মদক্ষতা, সামাজিক সম্পর্ক এমনকি দৈনন্দিন কাজেও প্রভাব পড়ে। তাই সময় থাকতে নিজের মনের যত্ন নেওয়া জরুরি। নিচে দেওয়া হলো এমন ১০টি অভ্যাস, যেগুলো নিয়মিত চর্চা করলে মন থাকবে ফুরফুরে ও প্রফুল্ল—

মেডিটেশন করুন প্রতিদিন
প্রতিদিন কয়েক মিনিট নিরিবিলি পরিবেশে মনোযোগের সঙ্গে মেডিটেশন বা ধ্যান করুন। এই অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে, মন স্থির রাখতে এবং আত্মসচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে।

শরীরচর্চা মানেই মনের যত্ন
নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম অথবা জিমের মতো যেকোনো ব্যায়াম করলে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ হয়, যা মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। ব্যায়াম শুধু শরীর নয়, মনও চাঙ্গা রাখে।

ঘুমে আপস নয়

প্রতিদিন অন্তত ৭ু৮ ঘণ্টা গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম দিন। ঘুমের অভাব মানসিক অস্থিরতা, ক্লান্তি ও বিরক্তির জন্ম দেয়।

প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান
পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সম্পর্ক পোক্ত রাখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। মানসিক দৃঢ়তা ও সামাজিক যোগাযোগ উন্নত করতে একান্ত সময় দিন সম্পর্কগুলোকে।

স্ক্রিন টাইম কমান
দিনভর সোশাল মিডিয়া স্ক্রল না করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর ও তথ্য মানসিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।

কৃতজ্ঞতার চর্চা করুন
প্রতিদিনের ৩টি ভালো ঘটনা বা অভিজ্ঞতা লিখে রাখুন। এই কৃতজ্ঞতার চর্চা মনকে করে তোলে ইতিবাচক ও দৃঢ়।

শিখুন নতুন কিছু
নতুন কিছু শেখা মস্তিষ্কের জন্য খুব ভালো ব্যায়াম। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, মানসিক উদ্দীপনা জাগায় এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

রুটিন মেনে চলুন
দিনের কাজ, বিশ্রাম ও ব্যক্তিগত সময়ের জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন এবং সেটি অনুসরণ করুন। এতে করে মানসিক বিশৃঙ্খলা কমবে ও জীবন ফিরে পাবে ছন্দ।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন

আবেগ জমিয়ে না রেখে ছবি আঁকা, গান, লেখা কিংবা যেকোনো সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করুন। এটি মানসিক ভার লাঘব করে।

প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের কাছে যান
যদি দীর্ঘসময় ধরে মন খারাপ থাকে, কিছুতেই মন স্থির না হয়—তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের বা কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় পেশাদার সহায়তা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।