জীবনযাত্রা প্রকৃতি ও পরিবেশ

নারায়ণগঞ্জে পুরস্কারপ্রাপ্ত বাড়ি !

নিজস্ব প্রতিবেদক, অনিন্দ্যবাংলা

প্রকাশ : ১৮-১-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫১১৫

স্থাপত্য অঙ্গনের নতুন নতুন কীর্তিকে স্বীকৃতি দিতে ৩৪ বছর ধরে ‘জে কে আর্কিটেক্টস অ্যাওয়ার্ডস’ দিয়ে আসছে ভারতের জে কে সিমেন্ট লিমিটেড। প্রতিযোগিতার সর্বশেষ সংস্করণে বিদেশি বিভাগে প্রায় ২৫০টি প্রকল্পের মধ্য থেকে বর্ষসেরা স্থপতি হয়েছেন বাংলাদেশের মাহমুদুল আনোয়ার। নারায়ণগঞ্জে তাঁর নকশা করা বাড়িটা দেখতে গিয়েছিলেন জিনাত শারমিন।

‘রিয়াজ লফট’কে মাঠ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখলে ভুল হবে; বরং মাঠটিই বাড়িটির হৃদয়, আঙিনা। বাড়ি আর মাঠ মিলেই সম্পূর্ণ হয় এই স্থাপনা।

তাই বাড়িটি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে মাঠেরও নানা উন্নয়নমূলক কাজ চলেছে। মাঠে বোনা হয়েছে নতুন ঘাস। বাড়ির পাশাপাশি সেগুলোরও দেখভাল করা হয় নিয়মিত। তৈরি করা হয়েছে নতুন বার–পোস্ট। মাঠে লাগানো হয়েছে ফ্লাডলাইট। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় নানা সংস্কার করে আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন। মহল্লার মধ্যে সুন্দর এই মাঠটি এখন সহজেই চোখে পড়ে। সময়ের সঙ্গে মাঠটি হয়ে উঠেছে এই মহল্লার সামাজিকীকরণের একটা প্রাণকেন্দ্র। নিয়মিত এই মাঠে খেলে এলাকার শিশুরা। আবার হইরই করে মহসিন ক্লাবের বিভিন্ন প্রীতি ও আনুষ্ঠানিক ম্যাচের খেলাও সেখানে হয়। আসলে ব্যবসার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিশেষ করে ফুটবল শিল্পপতি রিয়াজের আরেকটি আগ্রহের জায়গা। নিজেও নিয়মিত খেলাধুলা করতেন। ২০২২ সালে তাঁর হাত ধরেই নতুন জীবন পায় মহসিন ক্লাব। এই বাড়ি আর মাঠের খানিক দূরেই এই ক্লাবের কার্যালয়।ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কৃতিত্বও এই মাঠের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চান রিয়াজ।

বললেন, ‘এই মাঠে আমি লাখ লাখবার পড়েছি, আবার উঠে দাঁড়িয়েছি। এই মাঠই আমাকে শিখিয়েছে, জীবনে পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক, তবে আপনাকে উঠে দাঁড়াতেই হবে। কখনো হাল ছাড়লে চলবে না। তাহলে একসময় জয় আসবে। আসতেই হবে। আমার জীবনে যেটুকু যা সফলতা, এটাই তার রেসিপি।’