অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছে ভারত, আর এই ফাইনাল দিয়ে আরও এক অনন্য রেকর্ড গড়লেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি এখন একমাত্র অধিনায়ক, যিনি আইসিসির চারটি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিযোগিতার ফাইনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২৩ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে নেতৃত্ব দেন রোহিত। সে বছরের একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালেও ভারত ছিল। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও ভারতের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এবং এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত পৌঁছাল। এই চারটি আইসিসি প্রতিযোগিতার ফাইনালেই নেতৃত্ব দিয়েছেন শুধুমাত্র রোহিত শর্মা।
যদিও রোহিত শর্মা এখন পর্যন্ত একাধিক ফাইনালে উপস্থিত হলেও, তিনি শুধু একটি ফাইনাল জয়ী অধিনায়ক। গত বছর তিনি নেতৃত্ব দেন ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করতে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। তবে ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২৩ একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের হার হয় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এখন সব চোখ রবিবারের ফাইনালের দিকে, যেখানে রোহিত শর্মা নতুন ইতিহাস রচনা করতে পারেন।
রোহিত শর্মা ছাড়াও, আরও দুই অধিনায়ক আইসিসির চারটি ভিন্ন প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেছেন। তারা হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রিকি পন্টিং। তবে তারা কেউই রোহিতের মতো আইসিসির চারটি ভিন্ন প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছাতে পারেননি।
ধোনি ভারতের অধিনায়ক হিসেবে ২০০৭ এবং ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালের একদিনের বিশ্বকাপ, এবং ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ধোনি তিনটি ফাইনাল জয়ী অধিনায়ক, তবে ২০১৪ সালের ফাইনালে হেরে যান। রিকি পন্টিংও অস্ট্রেলিয়াকে ২০০৩ এবং ২০০৭ সালের একদিনের বিশ্বকাপ, ২০০৬ এবং ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে তুলেছিলেন এবং চারটি ফাইনালেই চ্যাম্পিয়ন হন।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ২০০০ ও ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০০৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে, তিনি ২০০2 ছাড়া বাকি দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও তিনটি আইসিসি ফাইনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন—২০১৯ সালের একদিনের বিশ্বকাপ, ২০২১ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে তিনি দুটি ফাইনাল হারেন, শুধুমাত্র ২০২১ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি জয়ী ছিলেন।
রোহিত শর্মার এই রেকর্ড বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।