মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) শিগগিরই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা বিতরণের কার্যক্রম শুরু করবে। প্রথমে বাকি থাকা (পেন্ডিং) বৃত্তি প্রদান করা হবে, এবং পরবর্তীতে নতুন শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া শুরু হবে।
মাউশির সূত্র অনুযায়ী, বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা ছাড় দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একাধিক সভার পর আইবাস প্লাস প্লাস প্রোগ্রামের মাধ্যমে বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা ছাড়ের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সরকার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৯ জন সাধারণ এবং মেধাবৃত্তির আওতায়, ১৭ হাজার ৭২৫ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, উপজাতি, প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক এবং পেশাদার উপবৃত্তি পাবে। এই সব মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ১৯০ কোটি ৫৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা বৃত্তি ও উপবৃত্তি হিসেবে পাবে।
এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ লাখ ৭০ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী ইএফটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৃত্তি পেয়েছেন, যার পরিমাণ ছিল ৬৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৫ টাকা। রাজস্ব খাতের উপবৃত্তির আওতায় ৮ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯০ টাকা পেয়েছেন।
এবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ও ক্রস চেকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, এবং অর্থ প্রেরণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাউশির আধুনিকীকৃত সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বৃত্তির টাকা প্রেরণের কাজ আরও সহজ ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাউশির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০-২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি-উপবৃত্তির টাকা প্রদান সম্পন্ন হবে এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে নতুন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা বিতরণ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. এহতেসাম উল হক জানিয়েছেন, “শিগগিরই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা বিতরণ শুরু হবে। আমরা বাকি থাকা বৃত্তি আগে প্রদান করব এবং তারপর নতুন শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া শুরু হবে।”